সঞ্জয় রায়ের চিকিত্সা না করেই ভুয়ো বিল তৈরি করেছিল অ্যাপোলো
সঞ্জয় রায়ের মৃত্যু নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের নয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। কমিটির তদন্তে অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। কমিটির দাবি, সঞ্জয় রায়ের চিকিত্সা না করেই ভুয়ো বিল তৈরি করে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ।
ওয়েব ডেস্ক : সঞ্জয় রায়ের মৃত্যু নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের নয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। কমিটির তদন্তে অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। কমিটির দাবি, সঞ্জয় রায়ের চিকিত্সা না করেই ভুয়ো বিল তৈরি করে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ।
লিভারের রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য অ্যাঞ্জিও অ্যাম্বোলাইজেশনের বিল ধরা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরীক্ষাটি আদতে করাই হয়নি। ৪ বার অস্ত্রপচারের জন্য মেজর অ্যানেসথেসিয়ার বিল করে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাত্র একবার লোকাল অ্যানেসথেসিয়া করা হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালের কয়েকজন চিকিত্সক, বিলিং বিভাগের কয়েকজন কর্মী এই বেনিয়মের সঙ্গে যুক্ত। রিপোর্টে রয়েছে, ৮-১০ জন চিকিত্সক ও হাসপাতাল কর্তার নাম। গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে চিকিত্সক সুরেশ রমাসুব্বাম, রেডিওলজিস্ট ঊষা গোয়েঙ্কা এবং CCU এক্সপার্ট শ্যামল সরকারের বিরুদ্ধে।
তদন্ত কমিটির দাবি, সঞ্জয়ের চিকিত্সায় গুরুতর গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। হাসপাতালে আনার পর সঞ্জয়কে একবার ওটিতে ঢোকানো হয়। একজন সার্জেন ওটিতে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে ওটি থেকে বের করে একজন রেডিওলজিস্টকে পাঠানো হয়। সার্জেন যদি অস্ত্রপচার করতেন, তাহলে শরীরের ভিতরে কোথায় কোথায় আঘাত রয়েছে, তা বোঝা যেত। তা না করে বিল বাড়ানোর জন্য ধাপে ধাপে অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা নিয়েছিল অ্যাপোলো। সঞ্জয়ের লিভার, প্লীহা, ফুসফুসের আঘাতের কার্যত কোনও চিকিত্সাই হয়নি। ভিতরে যে অনবরত রক্তক্ষরণ হয়ে যাচ্ছে, তাও বন্ধ করা হয়নি।
আরও পড়ুন, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য দু'বার রানওয়ে থেকে ফিরল বিমান