Anubrata Mondal Daughter: পরেশকন্যার চাকরি গেলেও হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি কেষ্ট-কন্যার!
Anubrata Mondal Daughter: হলফনামাটি যথোপযুক্ত নয়। পূর্বতন মামলার সঙ্গে এই হলফনামাটি যায় না। সেই কারণেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হলফনামাটি বাতিল করে হাজিরার নির্দেশ খারিজ করে দেন বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। সুকন্যা মণ্ডল সহ ৬ জনের হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার। একইসঙ্গে টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র পেশ করার নির্দেশও প্রত্যাহার। নির্দেশ প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বুধবারের অতিরিক্ত হলফনামাটিও জমা নেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ফিরিয়ে দেন সেটি। নির্দেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'আমার শরীর ভালো না। আসতাম না। কিন্তু না আসলে অনেকে ভাবত আমি ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছি। তাই আসলাম।' প্রসঙ্গত, টেট দুর্নীতিতে জড়িয়ে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এই মর্মে আদালতে একটি অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেন মামলাকারীর আইনজীবী।
কিন্তু সেই হলফনামাটি যথোপযুক্ত নয়। পূর্বতন মামলার সঙ্গে এই হলফনামাটি যায় না। সেই কারণেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হলফনামাটি বাতিল করে হাজিরার নির্দেশ খারিজ করে দেন বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর। তবে ওই অভিযোগগুলিকে সামনে রেখে নতুন করে আবেদন জানানো যাবে। নতুন করে মামলা করা যাবে। প্রসঙ্গত, টেট পাস-ই করেননি অনুব্রত কন্য়া সুকন্যা মণ্ডল! অথচ পাস না করেই বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই চাকরিতেও বাড়ি বসেই বেতন পেতেন সুকন্যা মণ্ডল! কোনও ডিউটি করতেন না। কোনও ক্লাস নিতেন না। একদিনের জন্যেও স্কুলে যাননি তিনি। একদিনের জন্য ছাত্র পড়াননি তিনি। অভিযোগ এমনই। তাহলে কীভাবে স্কুলে তাঁর উপস্থিতি নথিভুক্ত হত? যার ভিত্তিতে তিনি বেতন পেতেন! সেখানেও সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ!
আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: কে আপনি হরিদাস পাল? মেয়ের চাকরি প্রশ্নে মেজাজ হারালেন কেষ্ট
স্কুলের তরফেই নাকি উপস্থিতির রেজিস্টার নিয়ে যাওয়া হত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। তিনি সেই খাতায় শুধু সই করে দিতেন। এভাবেই চাকরি করতেন কেষ্ট-কন্যা। বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়। ২০১২ সালে টেটের পর এই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়েই চাকরিতে যোগদান করেন সুকন্যা। যদিও তিনি টেট-ই দেননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, যোগদানের পর থেকে আর বিদ্যালয়েই যাননি তিনি। অভিযোগ, শুধু মেয়ে সুকন্যা নন, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনের চাকরি হয়। যাঁর মধ্যে আছেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো সুমিত মণ্ডল ও সাত্যকি মণ্ডল, তাঁর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী ও সুজিত বাগদি। এই ইস্যুতেই সুকন্যা মণ্ডল সহ ৬ জনকে বৃহস্পতিবার তাঁদের টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র নিয়ে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।