Adenovirus: কলকাতায় ফের অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশুমৃত্যু? স্বাস্থ্যভবনে জরুরি বৈঠক
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল চন্দননগরের শিশুর। পরিবারের লোকেদের দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কথা জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডেফ সার্টিফিকেটে উল্লেখ, নিউমোনিয়া!
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: কলকাতায় ফের অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে শিশুমৃত্যু? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যখন তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠল, তখন জেলা থেকে রেফারে লাগাম পরাতে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশ দেওয়া হল, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু তাই নয়, অবস্থা স্থিতিশীল হলে কোনওভাবেই রেফার করা যাবে না বিসি রায় হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম পুষ্পিতা মণ্ডল। বয়স মাত্র ৯ মাস। বাড়ি, চন্দননগরে। জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছিল সে। ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা মেডিক্যালে আনা হয় শিশুটিকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এদিন সকালে মৃত্যু হয় পুষ্পিতার। ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ, নিউমোনিয়া।
তাহলে? পরিবারের লোকেদের দাবি, 'বলেছিল, সর্দি বসে গিয়েছে। দম নিতে পারছে না। অক্সিজেন দিয়ে আনা হয়েছিল। এখানে পরীক্ষার পর বসেছিল, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে'। বস্তুত, গত রবিবারও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এক শিশুর মৃত্যু হয়। তার ডেথ সার্টিফিকেটেও নিউমোনিয়ার উল্লেখ ছিল।
এদিকে রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। জেলা থেকে আক্রান্ত শিশুদের রেফার করে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা বিসি রায় হাসপাতালে। পরিস্থিতি এমনই যে, শিশু বিভাগে এখন আর একটি বেডও খালি নেই! এদিন স্বাস্থ্যভবনে জেলার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন স্বাস্থ্য স্বয়ং। স্রেফ রেফারে লাগাম পরনো নয়, সরকারি গাইড লাইন মেনেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক স্কুলছাত্রীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর বাসিন্দা ছিল সে। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ তো ছিলই, পরে আরও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।