২৪ ঘণ্টার অনন্য সাধারণ ঝুমা সরকার
২৪ ঘণ্টার অনন্য সাধারণ ঝুমা সরকার
২৪ ঘণ্টার অনন্য সাধারণ ঝুমা সরকার
১৪ মে ২০০৪। রাজচন্দ্রপুর রেলস্টেশনের কাছে কালভার্টের নিচে পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি মৃতদেহ। বন্ধু শক্তি চক্রবর্তীর দেহ চিনতে পেরে থানায় খবর দেন জগত্ সরকার। আর সেটাই বুমেরাং হয়। পুলিস খুনের দায় চাপিয়ে জগত সরকারকেই গ্রেফতার করে। হাওড়া আদালত জগতবাবুকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। হঠাত্ই অন্ধকারের নিচে চলে যায় একটি নিম্নবিত্ত অসহায় পরিবার। কারণ ওই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষ ছিলেন জগত্ সরকার। মেয়ে ঝুমা তখন সবে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু তখনই সে বুঝতে পারে তার বাবা নিরাপরাধ। বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। মাধ্যমিক পড়তে পড়তে সংসারের অভাব মেটাতে ও বাবাকে জেল থেকে মুক্ত করতে কঠিন পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জনের জন্য দু`বেলা টিউশনি পড়াতে থাকলেন ঝুমা। তিল তিল করে সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে আইনি লড়াই লড়তে থাকলেন বাবাকে মুক্ত করতে। নিজের সমস্ত সুখ-স্বাচ্ছন্দকে দূরে ঠেলে কঠিন বাস্তবের মুখে মেয়ে ঝুমা সরকার। বহু বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দশ বছরের লড়াই জিতে অবশেষে ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাবাকে হাজতবাস থেকে মুক্ত করে আনলেন ঝুমা।