Anandapur Child Death: আনন্দপুরে শিশু মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ দিদার, কবর থেকে তোলা হল মৃতদেহ
ঘটনার পর থেকেই আর খোঁজ নেই শিশুটির বাব-মার। অন্যদিকে, শিশুটির দিদার সন্দেহ। দুয়ে মিলিয়ে খুনের মামলা রুজু হওয়ার পর শিশুটিম মৃতদেহ কবর থেকে তুলে তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস
পিয়ালি মিত্র: আনন্দপুরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিস। বছর তিনেকের ওই শিশুটির বাবা-মা তাদের সন্তান বাথরুমের বালতির জলে ডুবে মারা গিয়েছে বলে দাবি করলেও মামলার মোড় ঘুরেছে শিশুটির দিদার অভিযোগের পর। তিনি তাঁর নাতির মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না। গত ৬ নভেম্বর শিশুটির মৃত্যু হলেও গতকাল শিশুটির দিদা থানায় ফোন করে তাঁর সন্দেহের কথা জানান। তাঁর দাবি নিছক বালতির জলে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়নি। এর পেছনে অন্য রহস্য রয়েছে। তার পরই একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন-কলকাতায় ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু ১৪ বছরের কিশোরীর
পুলিস শিশুটির বাবা-মার আনন্দপুরের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন ফ্ল্যাট তালাবন্ধ। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারেন,গত রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ তাঁরা চিত্কার শুনতে পেয়ে শিশুটির বাবা-মার ফ্ল্যাটে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, শিশুটি বাথরুমের বালতিতে ডুবে মারা গিয়েছে। পাশাপাশি তাদের এটাও বলা হয় যে শিশুটিকে যে চিকিত্সক পরীক্ষা করেছিল তিনি জানিয়েছেন শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে।
শিশুটির দিদার পুলিসকে জানিয়েছেন, গত ৬ নভেম্বর তাঁর মেয়ে ও জামাই জানায় তাদের সন্তান বাথরুমের বালতিতে ডুবে মারা গিয়েছে। মৃতদেহ নিয়ে তারা আসেন শিশুটির দিদার বাড়িতে তার নোনাডাঙ্গার বাড়িতে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী শিশুটির বাবা ঘটনার সময় বাড়িতে ছিল। কাজ যাওয়ার সুবাদে শিশুটির মা ছিল বাইরে। ফলে ঠিক কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় শিশুর দিদার মনে। ওই দিনই শিশুটির শেষকৃত্য করার চেষ্টা করে তার বাবা-মা। কিন্তু কোনও ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায় সেদিন তা করা সম্ভব হয়নি। পরদিন ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করে তোপিয়ার হিন্দু বেরিয়াল গ্রাউন্ডে শিশুটিকে সমাধিস্থ করা হয়।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই আর খোঁজ নেই শিশুটির বাব-মার। অন্যদিকে, শিশুটির দিদার সন্দেহ। দুয়ে মিলিয়ে খুনের মামলা রুজু হওয়ার পর শিশুটিম মৃতদেহ কবর থেকে তুলে তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস। বৃহস্পতিবার তোপসিয়ার সমাধিক্ষেত্রে থেকে শিশুটির মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়। এরপর সেটিকে এনআরএস হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।