দুর্গা বিসর্জন, সরস্বতী পুজোয় ফের বাধা দিলে নবান্নের এক একটা ইট ধসিয়ে দেব, হুঙ্কার অমিতের

 এবার একটা সুযোগ দিন নরেন্দ্র মোদীকে। বাংলায় উন্নয়ন করব আমরা, বললেন অমিত শাহ। 

Updated By: Aug 11, 2018, 07:08 PM IST
দুর্গা বিসর্জন, সরস্বতী পুজোয় ফের বাধা দিলে নবান্নের এক একটা ইট ধসিয়ে দেব, হুঙ্কার অমিতের

নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গা বিসর্জন আটকাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দিচ্ছেন। তোষণের একটা সীমা থাকা দরকার। শনিবার সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে ধারালো ভাষায় মমতাকে বিঁধলেন অমিত শাহ।

অমিতের হুঙ্কার, ''বিজেপি সরকারে আসছে দুর্গা বিসর্জনও হবে। স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজো। এবার দুর্গা বিসর্জন আটকানোর হিম্মত করলে মমতার সচিবালয়ের এক একটা ইট ধসিয়ে দেব''। 

দেশের আর্থিক উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গের অংশগ্রহণ ক্রমশ কমছে বলেও পরিসংখ্যান পেশ করে দাবি করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ''স্বাধীনতার পরে দেশের আর্থিক উন্নয়নে ২৫ শতাংশ অংশই ছিল বাংলার। কংগ্রেস সরকার ক্ষমতা থেকে সরার আগে তা নেমে আসে   ১৩ শতাংশে। বামেরা যাওয়ার সময়ে আরও কমে হয়ে যায় ৪ শতাংশ। বিগত ৭ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের আর্থিক উন্নতিতে বাংলার যোগদান  ৩ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছেন। বাংলা ২৫ থেকে ৩ শতাংশে চলে গেল। সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেস উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনটি দলকেই সুযোগ দিয়েছেন বাংলার মানুষ। এবার একটা সুযোগ দিন নরেন্দ্র মোদীকে। বাংলায় উন্নয়ন করব আমরা''। 

শ্যামাপ্রসাদের রাজ্যে দলকে ক্ষমতায় আনতে শাহ-মোদী কতটা উদগ্রীব তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর কথায়, ''১৯টি রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় রয়েছি। তবে বাংলা দখল ছাড়া তার কোনও দাম নেই। শ্যামাপ্রসাদের রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে চাই আমরা''।অমিত শাহ বলেন, ''আগে এরাজ্যে ভজন, শ্রী কৃষ্ণের কীর্তন শোনা যেত। এখন বোমা ফাটার খবর আসে। রাজ্যে একের পর এক শিল্প পাততাড়ি গোটাচ্ছে। অথচ আজ এখানে বোমা কারখানা তো কাল সেখানে অস্ত্র কারখানার খবর মিলছে''। এগুলি কারা করছে? অমিতের দাবি, এগুলির পিছনে রয়েছে বাংলাদেশিদের হাত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের কারণে হিন্দু-মুসলিম-দুপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁরা কাজ হারাবেন।

আরও পড়ুন- ভাগতে ভাগতে যুব মোর্চার সভায় অমিত শাহের 'ভাই' হয়ে গেলেন মুকুল রায়      

.