করের বোঝা না চাপিয়েও দেনার নাগপাশ ছাড়াতে পারলেন না অর্থমন্ত্রী
কর না চাপিয়েই বাড়তি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পরিকল্পনা খাতে বাড়িয়েছেন বরাদ্দ। কিন্তু, এই বাজেটেও দেনার নাগপাশ থেকে মুক্তির উপায় বলতে পারলেন না তিনি। বাজেট বইয়ের তথ্য বলছে, তিন বছরে প্রায় তিরাশি হাজার কোটি টাকা ঋণ করবে রাজ্য সরকার।
কর না চাপিয়েই বাড়তি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পরিকল্পনা খাতে বাড়িয়েছেন বরাদ্দ। কিন্তু, এই বাজেটেও দেনার নাগপাশ থেকে মুক্তির উপায় বলতে পারলেন না তিনি। বাজেট বইয়ের তথ্য বলছে, তিন বছরে প্রায় তিরাশি হাজার কোটি টাকা ঋণ করবে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের মাথায় ঋণের বোঝার জন্য বারবার বাম জমানাকেই কাঠগড়ায় তোলে বর্তমান সরকার। কিন্তু, ঋণের দায় তারাও এড়াতে পারছে কি?
পালাবদলের সময়ে সরকারের দেনা ছিল এক লক্ষ বিরানব্বই হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের শেষে ঋণ বেড়ে হবে দুলক্ষ পঞ্চাশ হাজার আটশো সাঁইত্রিশ কোটি
পরবর্তী আর্থিক বছর শেষে ঋণ বেড়ে হবে দু লক্ষ পঁচাত্তর হাজার একশো সাতান্ন কোটি।
অর্থাত্ চার বছরে ঋণের পরিমাণ প্রায় তিরাশি হাজার কোটি টাকা
যদিও গত তিনবছরে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে রাজ্য সরকারের আয়।
দুহাজার দশ-এগারো অর্থবর্ষে সরকারের আয় ছিল একুশ হাজার একশো আঠাশ কোটি টাকা
এই বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে পঁয়তাল্লিশ হাজার চারশো তেরো কোটি টাকা
এদিকে এই তিনবছরে রাজ্যের ব্যয় খুব বাড়েনি। গত তিনবছরে,
বেতন ও পেনশন খাতে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ষোলো হাজার কোটি টাকা
------
ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ব্যয় বেড়ে হবে প্রায় তেরো হাজার কোটি টাকা
------
প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আয়কে সাফল্যের সঙ্গে বাড়াতে পারলেও, ঋণের ওপর কেন লাগাম টানতে পারছেন না অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র?