Awami League Leaders Arrest: ধর্ষণে নয়! নানা অপরাধে কলকাতা থেকে গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৪ নেতা...
Fact-Check : ইন্ডিপেন্ডেন ফ্যাক্ট চেকের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনে লেখা খবরটি ভুল। আসল তথ্য যা পাওয়া গিয়েছে তা হল, তাদের মূলত অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, জাতীয় সড়কে ডাকাতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্ডিপেন্ডেন ফ্যাক্ট চেকের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনে লেখা খবরটি ভুল। আসল তথ্য যা পাওয়া গিয়েছে তা হল, তাদের মূলত অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, জাতীয় সড়কে ডাকাতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের পুলিসের বরাত দিয়ে বলা হয়, মেঘালয় রাজ্যের একটি ফৌজদারি মামলায় পালিয়ে থাকা চারজন বাংলাদেশিকে কলকাতা থেকে তারা গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে। এরা সবাই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে এদের বিরুদ্ধে মেঘালয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আছে বলে যে খবর রটেছে, তা সঠিক নয় বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন মেঘালয় পুলিসের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং।
বেশ বহুদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে একপ্রকার তিক্ততা তৈরি হয়ে রয়েছে। এই তিক্ত আবহের মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের চার শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের এই চার হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। জানা গিয়েছে, ওই চারজনের বিরুদ্ধে ডাউকি থানার একটা মামলা ছিল। কোনও ধর্ষণের অভিযোগ নেই এদের বিরুদ্ধে। ডাউকি থানায় এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ ছিল। সেই মামলাতেই কলকাতা থেকে এদের গ্রেফতার করে আনা হয়েছে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিসের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে শিলং পুলিস। গ্রেফতারকৃতরা গত মাসে পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলসের ডাওকিতে স্থানীয় ট্রাক চালকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগও রয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান এবং সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর থেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসে একাধিক আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারা। তাদের মধ্যেই শিলং পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে আসে।
আরও পড়ুন:BSF on Bangladesh: বাংলাদেশ আসুক, আমরা দেখে নেব...: BSF!
আরও জানা গিয়েছে, দেশ ছেড়ে পালানোর পর শিলংয়ে ছিলেন নাসির উদ্দিন খানসহ ছয়জন ওঠেন শিলং বাজার থেকে খানিক দূরে একটি ফ্ল্যাটে। শিলংয়ে শীতের প্রকোপ বাড়ায় গত ১ ডিসেম্বর তারা শিলং ছেড়ে কলকাতা চলে যান। কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, শিলং ছেড়ে কলকাতায় আসার সময় তারা স্থানীয় থানায় অবগত করে আসেননি। পরে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে পুলিস খোঁজ নিলে ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ তাদের থানায় যোগাযোগের জন্য বলে। কিন্তু কলকাতা থেকে শিলংয়ের দূরত্ব বেশি হওয়ায় তারা আবার সেখানে গিয়ে স্থানীয় থানা পুলিসের কাছে বিষয়টি অবগত করেননি। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ফ্যাক্টওয়াচ ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের চার নেতাকে গ্রেফতার করার দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)