Al Qaeda Terrorist: মালদহ থেকে সোজা সাহারানপুর, সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের(AQIF) এর একজন সক্রিয় সদস্য এই হাসনাত খান। বিস্ফোরক, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রযুক্তি-সহ বহু বিষয়ে তাকে ট্রেনিং দেওয়া হয়
পিয়ালি মিত্র: উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে কলকাতা পুলিসের এসটিএফের জালে সন্দেহভাজন আল কায়দা সদস্য। ধৃতের নাম হাসনাত শেখ। বাড়ি মালদহের সুজাপুরে। তদন্তকারীরা খোঁজখবর করতে গিয়ে সুজাপুরে যান। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত জানতে পারা যায় হাসনাত বাংলা থেকে পালিয়ে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আশ্রয় নিয়েছে। ওই খবর পাওয়ারপরই সাহারানপুরে হাসনাতের উপরে নজর রাখছিলেন। শেষপর্যন্ত তারা নিশ্চিত হন তাদের সন্দেহ করা ব্যক্তিই হাসনাত। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে কলকতায় আনাও হয়েছে।
আরও পড়ুন-বড় সাফল্য এসটিএফ-এর, কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধৃত ২ আল কায়েদা জঙ্গি
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের(AQIF) এর একজন সক্রিয় সদস্য এই হাসনাত খান। বিস্ফোরক, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রযুক্তি-সহ বহু বিষয়ে তাকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। রাজ্যের বাইরে একিউআইএফের যেসব সদস্য রয়েছে তাদের সঙ্গে হাসনাতের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশে একিউআইএফের কয়েকজন শীর্ষকর্তার ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। দুটি মোবাইল অ্য়াপ থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। বেশকিছু ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট উত্তর ২৪ পরগনার খড়িবাড়ি এলাকা থেকে আলকায়দা জঙ্গি সন্দেহ ২ যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতদের নাম আবদুর রফিক সরকার ওরফে হাবিবুর এবং কাজি এহসান মোল্লা ওরফে হাসান। ধৃত আবদুর রফিক সরকার আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের (AQIS) পশ্চিমবঙ্গের অপারেশনের চার্জে ছিলেন। সে নিজে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। এসটিএফ সূত্রে খবর, অফিসারদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, উত্তর ২৪ পরগনার খড়িবাড়িতে আরও এক জঙ্গির সঙ্গে দেখা করতে আসবে আবদুর রফিক। সেই মতো গোপন অপারেশন চানায় এসটিএফ (STF)। তাতেই মেলে সাফল্য। একসঙ্গে দুই আল কায়েদা জঙ্গি অফিসারদের জালে ধরা পড়ে।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন কয়েকদিন, আগে বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা কারও সঙ্গে দেখা করতে আসবেন আবদুর রফিক সরকার। সেই ব্যক্তি কাজি এহসান মোল্লা। এরপর থেকেই আবদুর রফিকের উপর নজর রাখতে শুরু করেন অফিসাররা। বুধবার যখন তারা একসঙ্গে হয়, তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছেন যে তারা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টেরে সদস্য। আবদুর রফিক নাকি নিজে জানিয়েছেন, তিনি আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের চার্জে রয়েছেন। ধৃতদের কাছ থেকে বহু মৌলবাদী নথি এবং বহু গোপন তথ্য উদ্ধার হয়েছে।