এয়ারপোর্ট থেকে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো, সিদ্ধান্ত হল নবান্নে
এয়ারপোর্ট থেকে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো। এয়ারপোর্ট - বারাসত মেট্রোর পথ নিয়ে নবান্নে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হল। বৈঠকের শেষে রাজ্যের কর্তারা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছেন, সম্প্রসারণে জমি বাধা হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এয়ারপোর্ট থেকে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো। এয়ারপোর্ট - বারাসত মেট্রোর পথ নিয়ে নবান্নে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হল। বৈঠকের শেষে রাজ্যের কর্তারা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছেন, সম্প্রসারণে জমি বাধা হবে না।
শুক্রবার মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে নবান্নে হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভার কমিশনার খলিল আহমেদ। সেখানে বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পের জমি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি আলোচনা হয়। সেই বৈঠকেই ওঠে এয়ারপোর্ট - বারাসত মেট্রো প্রকল্পে জমি সমস্যার কথা। কেএমআরসি কর্তারা জানান, এয়ারপোর্ট থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য যশোর রোডের ধার বরাবর জমি প্রয়োজন। কিন্তু ওই অংশে জমি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয় রাজ্যের তরফে। বদলে এয়ারপোর্ট থেকে বিটি কলেজ, দোলতলা হয়ে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে মাটির নীচ দিয়ে যাবে মেট্রোর লাইন।
তেমনটা হলে এয়ারপোর্ট - বারাসত হবে কলকাতার তৃতীয় ভূগর্ভস্থ মেট্রো লাইন। বর্তমানে শহরে দমদম থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ পথে চলে মেট্রো। এছাড়া ইস্ট - ওয়েস্ট মেট্রোর ফুলবাগান থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ পথ তৈরির কাজ চলছে।
এছাড়া এদিন এয়ারপোর্ট - গড়িয়া মেট্রোর জমিজট প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। মেট্রোর তরফে জানানো হয়, ওই প্রকল্পে বিশ্ব বাংলা সরণির ওপর চিংড়িঘাটায় জমির সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে রয়েছে একটি উড়ালপুল। ফলে মেট্রো লাইন ঘুরিয়ে বিধাননগরের দিকে ঢোকানো হচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি স্তম্ভ বসানোর জায়গা পাচ্ছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই জট কাটাতে নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্তর নেতৃত্বে আজ একটি কমিটি গড়েছেন মুখ্যসচিব।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিশু অভিনেতার
জোকা - বিবাদীবাগ মেট্রোর মাঝেরহাট থেকে বিবাদীবাগ পর্যন্ত অংশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে আজকের মিটিংয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে রাজ্য। ওই প্রকল্পের জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত অংশের অনুমোদন আগেই দেওয়া হয়েছিল। তবে সেখানেও রয়েছে জমি জট। তা কাটানোর ভার পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে দেওয়া হয়েছে।