সেলেব মুখেই ভরসা, বিজেপিতে-যোগের বছর ঘুরতেই তুরীয় উত্তরণ অগ্নিমিত্রার

রাজ্যে বিজেপির জোয়ার আসব আসব করছে, তখন গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Jun 6, 2020, 11:27 PM IST
সেলেব মুখেই ভরসা, বিজেপিতে-যোগের বছর ঘুরতেই তুরীয় উত্তরণ অগ্নিমিত্রার

নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন উল্কার গতিতে উত্থান! গতবছর ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ  দিয়েছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। বছর ঘোরার পরই তিনি দলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর আরও এক সেলেব নেত্রী। জি ২৪ ঘণ্টাকে অগ্নিমিত্রা বলেন,''মহিলাদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। জেলায় জেলায় আইনি সহায়তা সেল গঠন করতে চান।''   

রাজ্যে বিজেপির জোয়ার আসব আসব করছে, তখন গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়। তখন বাংলায় বিজেপি মুখ খুঁজছিল। সেই মুখই হয়ে উঠলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়। মহাভারতের 'দ্রৌপদী'র সর্বভারতীয় পরিচিতি রয়েছে। টলিউডে প্রচুর ছবিতে কাজ করেছেন লকেট। রূপা সভানেত্রী হওয়ার পর মহিলা মোর্চার মরা গাঙে বান আসে। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর স্থলাভিষিক্ত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। রিল থেকে রিয়েলে এসে রীতিমতো অসাধ্য সাধন করেছেন লকেট। বিজেপি নেতারাও স্বীকার করেন, লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্রটি বের করে আনার পিছনে লকেটের অকুতোভয় মানসিকতা।  সবচেয়ে বড় কথা সেলেব তকমা ঝেড়ে সকলের সঙ্গে মিশে যেতে পেরেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। অতীত অভিজ্ঞতাতেই মহিলা মোর্চার সভানেত্রী নির্বাচনে তাই প্রাধান্য পেলেন সেলেবই।                   

ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে অগ্নিমিত্রার খ্যাতি ভূভারতে। অনেক নামিদামি ব্যক্তিত্বরা তাঁর ডিজাইন করা পোশাক পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'গুণগ্রাহী' অগ্নিমিত্রা পল। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই ২০১৯ সালের মার্চে যোগদান গেরুয়া শিবিরে। এখন বড় দায়িত্ব পেলেন। কী করবেন? অগ্নিমিত্রার কথায়, ''২০২১ সালে বিধানসভা ভোট। বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসছে। এটা সকলেই জানেন।''

শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের মহিলা নেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করে দিয়েছেন। তৃণমূলে কি ভাঙন ধরাবেন? অগ্নিমিত্রার সপ্রতিভ জবাব,''এতটা এফোর্ট দিতে হবে? ভাঙন এমনিই ধরে যাবে। অনেস্টলি কাজ করতে চাই। নিজের প্রফেশন ছেড়ে এসেছি। আমার মতো অনেকেই রাজনীতিতে এসেছেন।  মহিলারা ঘর সংসার সামলে অনেক আত্মত্যাগ করে রাজনীতি করছেন। তাঁরা বেআইনি কাজের সঙ্গে থাকবেন না। যারা দেশ ও রাজ্যের জন্য কাজ করতে চান এগিয়ে আসুন। সব ধর্ম, মত ও বর্ণের মহিলারা আসুন। একসঙ্গে কাজ করব।'' 

দায়িত্ব পেয়ে সংগঠনে কী নতুন ভাবনা আনবেন? অগ্নিমিত্রা বলেন,''জেলায় জেলায় মহিলাদের জন্য একটা আইনি সেল খুলতে চাই। আমরা দেখেছি, মহিলারা কতটা অত্যাচারিত হচ্ছেন। আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের নির্দেশ মেনে ঘরে বসেই জেলার নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি।''

রাজনীতির কারবারিদের মতে, রাজ্য রাজনীতি এখন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এমন সময়ে রাজনীতিতে সদ্য হাতেখড়ি হওয়া অগ্নিমিত্রা পল কি পারবেন সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে? সেই প্রশ্নের জবাব লুকিয়ে ভবিষ্যতের গর্ভে।          

আরও পড়ুন- রাজু-প্রতাপ-দেবজিতের 'পদস্থলনে' প্রশ্ন বিজেপির অন্দরমহলে

.