রাজু-প্রতাপ-দেবজিতের 'পদস্থলনে' প্রশ্ন বিজেপির অন্দরমহলে

রদবদলে উঠছে প্রশ্ন। মুখ্য চরিত্রে তিন জন-  রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবজিত্ সরকার।

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Jun 7, 2020, 12:02 AM IST
রাজু-প্রতাপ-দেবজিতের 'পদস্থলনে' প্রশ্ন বিজেপির অন্দরমহলে

নিজস্ব প্রতিবেদন: কারও শিকে ছিঁড়েছে। কারও আবার হতাশাই সঙ্গী। রাজনীতির সিঁড়িতে উত্থান-পতন লেগেই থাকে। তার সঙ্গেই থাকে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি নিয়েও তেমন প্রশ্ন উঠছে ইতিউতি। মুখ্য চরিত্রে তিন জন-  রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবজিত্ সরকার। অনেকেই মনে করছেন, তাঁদের সঙ্গে অবিচার হয়েছে। 

রাজ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক। রদবদলে তাঁরা হয়েছেন সহ-সভাপতি। বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্ব সহ-সভাপতির চেয়ে অনেকটাই বেশি। রাজু ও প্রতাপের এমন পদ খোয়ানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। তাঁদের মতে, বিভিন্ন আন্দোলনে সামনের সারিতে দেখা যায় রাজুকে। পুলিসের মারও খেয়েছেন বেশ কয়েকবার। এমনকি দলের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি ছেড়ে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। চাকরির ১১ বছর বাকি ছিল তখনও। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ভাবনাই থাকলে চাকরি কেন ছাড়ানো হল? প্রশ্ন তুলেছে সমর্থকদের একাংশ। 

প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও অনেকের মনখারাপ। প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি, তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তপন শিকদারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রতাপবাবু। দীর্ঘদিন ধরে সঙ্ঘের কর্মী। তাঁর মার্জিত ও শান্ত ব্যবহার। জেলায় জেলায় তো বটেই, রাজ্য অফিসে বসে দল পরিচালনাও করতেন। সেই প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন যুক্তিতে সরানো হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজ্য বিজেপিতে অভিজ্ঞতার নিরিখে অনেক এগিয়ে প্রতাপবাবু। তৃণমূল-বিজেপির গাঁটছড়ার সাক্ষী ছিলেন তিনি। একুশের মহারণের আগে এমন অভিজ্ঞমুখ সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানোয় হতাশ দলের পুরনো কর্মীরা।                    

ক্লিন ইমেজ। দাড়িভিটে জেল খেটেছেন। বিজেপির অন্দরের খবর, তাঁর জমানায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত বিজেপির যুব মোর্চা। সেই যুব মোর্চা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দেবজিত্ সরকারকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন সৌমিত্র খাঁ। বিজেপির অন্দরে এই রদবদল নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। দেবজিতকে সরিয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না যুব মোর্চার অনেকে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে দেবজিতের মতো তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাকে তুলে আনার দরকার ছিল বলে মত তাঁদের।     
  
রাজনীতির পাশাখেলায় আজ যে আমির, কাল সে ফকির। কারও উত্থান হয়, কারও পতন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে খেলা। ফলে এখানেই যে শেষ নয়, তা পোড়খাওয়া রাজনীতিকরা বোঝেন। সে কারণে এব্যাপারে তিনজনেরই সংযত প্রতিক্রিয়া, তাঁরা দলের অনুগত সৈনিক।     

আরও পড়ুন- দুধ-হলুদ, দারচিনি-আদা- এমন ৪ ভাগে চলছে আর্য়ুবেদের 'করোনা পরীক্ষা'

.