ভবানীপুর দাস বাড়িতে ফের বিয়ে হল ৬ ভাই-বোনের, বাসর সাজালো নাতি-নাতনিরা
যেমন মীরাট থেকে উড়ে এসে শ্বশুর-শাশুড়ির বিয়ে দিলেন মোনালিসা, তেমনই ঠাকুমাদের মেহেন্দি পড়ানোর ভার ছিল নাতনি পারমিতার ওপরেই
নিজস্ব সংবাদদাতা: সেই ৮০ সালে একবার বিয়ে করেছিলেন। ফের শনিবার রাতে বিয়ে করলেন ৬৪ বছরের সুদীপ দাস। পাত্রী একই, ৫৩ বছরের অনিমা দাস। শুধু সুদীপ বাবু আর অনিমা দেবীই নয়, একই সঙ্গে মালাবদল হল সুদীপবাবুর আরও চার ভাই আর এক বোনের। পরিবারের এই গণবিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব সামলালেন নাতি নাতনি, ছেলে বৌমারা।
যেমন মীরাট থেকে উড়ে এসে শ্বশুর-শাশুড়ির বিয়ে দিলেন মোনালিসা, তেমনই ঠাকুমাদের মেহেন্দি পড়ানোর ভার ছিল নাতনি পারমিতার ওপরেই। দুদিন মেহেন্দি, সঙ্গীতের পর শনিবার রাতে দাসবাড়ির ছাদে জমে উঠল বিয়ের মহা আসর। কিন্তু কেন এই মহাআয়োজন? দাস বাড়ির প্রবীণ সদস্য সন্দীপ দাস ময়ুরপঙ্খী ধুতি সামলাতে সামলাতে বললেন, “নাতি নাতনিদের থেকেই প্রথম প্রস্তাবটা আসে। আসলে তিরিশ -চল্লিশ বছর আগে ভাইবোনেরা যখন বিয়ে করি কেউই রেজিস্ট্রি করিনি। অনেক সমস্যাও তার জন্য হয়েছে। তাই একদিনেই সবার রেজিস্ট্রির পরিকল্পনা। ”পাশ থেকে টিপ্পনী কাটে মোনালিসা। বলেন,“ ছয়-ছয় বারোজনের রেজিস্ট্রি একসঙ্গে হবে আর মালাবদল বা পার্টি হবেনা? গোটা দেশে ছড়িয়ে থাকা সব আত্মীয়রাই তাই ছুটে এসেছি। একেবারে বিয়ের মুড। ”
রাত তখন দশটা। দম্পতীদের সই করাতে করাতে ক্লান্ত রেজিস্ট্রি অফিসার। মালাবদল, কেক কাটা, ফোটোসেশন, ভুড়িভোজ শেষ। দাদুঠাকুমাদের তখন বাসর রাত জাগানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে দাসবাড়ির শেষ প্রজন্ম।