খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডা আবুল হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে নিল NIA

খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল পাণ্ডা আবুল হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে নিল NIA। বাকি তিন অভিযুক্ত আলিমা, রাজিয়া ও হাসেম মোল্লাকে কুড়ি তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ আদালত চত্বরে হাকিমকে দেখে ভেঙে পড়ে আলিমা। বিচলিত দেখায় হাকিমকেও। জঙ্গি দম্পতির আবেগের সাক্ষী রইল ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বর।

Updated By: Nov 5, 2014, 08:59 PM IST
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডা আবুল হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে নিল NIA

ওয়েব ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল পাণ্ডা আবুল হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে নিল NIA। বাকি তিন অভিযুক্ত আলিমা, রাজিয়া ও হাসেম মোল্লাকে কুড়ি তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ আদালত চত্বরে হাকিমকে দেখে ভেঙে পড়ে আলিমা। বিচলিত দেখায় হাকিমকেও। জঙ্গি দম্পতির আবেগের সাক্ষী রইল ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বর।

শেষ দেখা হয়েছিল বিস্ফোরণের দিন।  রক্তাক্ত হাকিমকে তড়িঘড়ি  নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে।  আর একরত্তি মেয়েকে নিয়ে আলিমার ঠাঁই হয়েছিল বর্ধমান থানার লক আপে। তারপর কেটে গেছে একমাস।  বিস্ফোরণের জাল ছড়িয়েছে অনেক দূর। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ফের দেখা হল দুজনের। SSKM হাসপাতাল থেকে এদিন হাকিমকে সোজা ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত চত্বরেআবুল হাকিমকে  দেখে চোখের জল বাঁধ মানেনি আলিমার।  স্ত্রীকে দেখে গলে গেল কট্টর জঙ্গির  মনও। মেয়ের গাল টিপে আদর করতে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় হাকিম। খোঁজ নিল অন্তঃস্বত্ত্বা আলিমার। হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় NIA।

এনআইএ-র যুক্তি-
"খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের দিন সেই ঘরে ছিল আবুল হাকিম। বিস্ফোরক  তৈরির কাজ করছিল সে। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় হাকিম।  তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হাকিম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে।তাই হাকিমকে ১৫দিনের এনআইএ হেফাজত দেওয়া হোক। আমরা হাকিমকে সল্টলেকের সিআরপিএফ ক্যাম্পে রাখতে চাই''

নির্দেশ দেওয়ার আগে আদালত কক্ষ ফাঁকা করে দেন বিচারক। হাকিমের সঙ্গে একান্তে বেশকিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। NIA-র জেরা মুখোমুখি হতে শারীরিকভাবে হাকিম প্রস্তুত কিনা সেটাও জানতে চান বিচারক। এরপরই হাকিমকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত NIA হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। বাকি তিন অভিযুক্ত হাসেম মোল্লা, রাজিয়া ও আলিমা বিবিকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবারই অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী দাঁড় করানোর কথা ঘোষণা করেছিল মানবাধিকার সংগঠন APDR। হাসেম ও রাজিয়া আইনি সাহায্য নিতে রাজি হলেও, হাকিমের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে আলিমা। অন্যদিকে, বিশেষ কোনও ব্যবস্থা ছাড়া অন্যান্য কয়েদীদের সঙ্গেই এদিন আদালতে নিয়ে আসা হয় হাসেম মোল্লাকে। কলকাতা পুলিসের দাবি, NIA-র তরফে বিশেষ ব্যবস্থার জন্য আর্জি জানানো হয়নি। ভুল বোঝাবুঝির কথা স্বীকার করেছে NIA।

.