এক অন্য বন্ধুতার কাহিনী, তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ঘরে ফিরিয়ে দিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে
`শহরের মানবিক মুখ'। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ঘরে ফিরিয়ে দিলেন এ শহরেরই এক তরুণ ইঞ্জিনিয়র। পাটুলি ব্রিজের ধারে সংসার গুটিয়ে পরিবারের হাত ধরে দেশে পাড়ি দিল মহারাষ্ট্রের সুদাম মারুতি শিরহোলে ।
ব্যুরো: `শহরের মানবিক মুখ'। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ঘরে ফিরিয়ে দিলেন এ শহরেরই এক তরুণ ইঞ্জিনিয়র। পাটুলি ব্রিজের ধারে সংসার গুটিয়ে পরিবারের হাত ধরে দেশে পাড়ি দিল মহারাষ্ট্রের সুদাম মারুতি শিরহোলে ।
শীতের সকাল, ঘুম ভাঙা শহরে বন্ধুতার হাত, মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়ানো...এক ভবঘুরের ঘরে ফেরার গল্প
সকালে মর্নিংওয়াকের ফাঁকে রোজই দেখা হত। বয়স ২৮ ছুঁইছুঁই। এলোমেলো চোখ, উসকোখুসকো চুল। শীতের রাতে ঠান্ডায় জুবুথুবু। গায়ে ছেঁড়া ফাটা চাদর। অনেকেই পাগল বলে এড়িয়ে গেছেন নিতান্ত অবহেলায়। অরোত্তম পারেননি। পাটুলি ব্রিজের ধারে সংসার পাতা মানসিক ভারসাম্যহীন সুদামের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় পেশায় ইঞ্জিনীয়ার অরোত্তম কুণ্ডুর।
সুদামের কথায় দেহাতি টান। অনেক শব্দও অচেনা। অরোত্তমের সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ। কোথায় বাড়ি সুদামের? কিছুই যে বলতে পারে না মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। বীড় শব্দটা বারবার ফিরে এসেছে সুদামের এলোমোলো কথায়। সুদামের কথা ইন্টারনেটে ট্রান্সক্রিপ্ট করে অরোত্তম বুঝতে পারে সুদাম মহারাষ্ট্রের।
অরোত্তমের চেষ্টায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে খবর পৌছে যায় মহারাষ্ট্রের বীর জেলার কাড়া গ্রামে সুদামের পরিবারে।
শেষটা সিনেমার মত। ট্রেনের হুইসেল। বাড়ি ফিরে যাচ্ছে সুদাম। মহারাষ্ট্রের গ্রামে পৌছে কী অরোত্তমের কথা মনে পড়বে সুদামের? কে জানে? অরোত্তম খুশি। খুশি একজন মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আনন্দে।