‘জাল ভ্যাকসিন কর্মকাণ্ড জানলে নিজে বা পরিবারের কাউকে কি সেই ভ্যাকসিন নিতে দিতাম?’
রীতিমতো ইন্টারভিউ নিয়ে তাঁকে I & CA তে চাকরি দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের নায়ক দেবাঞ্জন দেবের জালিয়াতির শিকার তাঁর এক আত্মীয়ও। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আত্মীয় জানান, রীতিমতো ইন্টারভিউ নিয়ে তাঁকে I & CA তে চাকরি দেওয়া হয়। পরে কোভিড শুরু হতে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় কেএমসি-র কসবা অফিসে। ওই আত্মীয় আরও জানান, চাকরি বাবদ তিনি বেতন পেতেন মাসে ৪০ হাজার টাকা। কোনো দিন বেতন বাকি রাখা হয়নি। ওই আত্মীয়ের দাবি ভ্যাকসিনের কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না। তাই সে সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
আরও পড়ুন: ফলক কেলেঙ্কারি কিসের! কে লাগাচ্ছে, কে ভাঙছে আমার জানার কথা নয়: Firhad
এখানেই শেষ নয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ জানতে পেরেছে নিজের অফিসের কর্মীদেরও ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। সেই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন এই আত্মীয়, তাঁর মা এবং স্ত্রীও। এই কর্মী তথা আত্মীয়ের বক্তব্য, ‘জাল ভ্যাকসিন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানলে নিজে বা পরিবারের কাউকে কি সেই ভ্যাকসিন নিতে দিতাম?’ দেবাঞ্জনের অফিসের ওই আত্মীয়-কর্মীর দাবি, ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হত। অফিসের নির্দিষ্ট একটি ঘরে সেগুলি রাখা হত। কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য বাইরে থেকে লোক এনেছিলেন দেবাঞ্জন। তাঁদের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে পুলিসের জালে আরও ৩, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে দায়ের নতুন অভিযোগ
ওই আত্মীয়ের দাবি, দেবাঞ্জনের সঙ্গে একসঙ্গে বড় হন তিনি। তাঁর মধ্যে আগে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখেন নি। চার বছর আগে তাঁরা জানতে পারেন যে দেবাঞ্জন IAS পাশ করেছেন। বছর তিনেক আগে ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন তাঁকে চাকরি দেন, বলে জানিয়েছেন ওই আত্মীয়।