Durga Puja 2022: বর্জ্যের বজ্ররূপ, অন্য দুর্গায় চমকে দিল ক্যাম্পাস
টেকনো ইন্ডিয়া কলেজ এবং স্কুলের পড়ুয়ারা মিলে বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি করে ফেলেছে সাড়ে এগারো ফুট উচ্চতার দুর্গা। বুধবার টেকনো ইন্ডিয়ার বিধাননগর ক্যাম্পাসে উদ্বোধন করা হল এই প্রতিমার। বিভিন্ন পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করে তারা তৈরি করে ফেলেছে এই প্রতিমা। প্রতিমার উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ব্রততি বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুষ্টুপ রায় বর্মণ
দেবীপক্ষের শুরুতেই কলকাতা জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে শুরু হয়ে গিয়েছে মানুষের ভিড়। সাবেকি থেকে শুরু করে থিম পুজো, বিভিন্ন সাজে সেজে উঠছে শহর থেকে গ্রামের শ’য়ে শ’য়ে মণ্ডপ । মণ্ডপ সজ্জা থেকে শুরু করে প্রতিমা, সবেতেই নতুনত্বের ছোঁয়া দেখা যায় এই সময়। বহু উদ্যোক্তা এই সময় তাঁদের ভাবনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক বার্তা দেওয়ারও চেষ্টা করেন।
এরকমই এক নতুন ভাবনা দেখা গেল টেকনো ইন্ডিয়া কলেজে। টেকনো ইন্ডিয়া কলেজ এবং স্কুলের পড়ুয়ারা মিলে বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি করে ফেলেছে সাড়ে এগারো ফুট উচ্চতার দুর্গা। বুধবার টেকনো ইন্ডিয়ার বিধাননগর ক্যাম্পাসে উদ্বোধন করা হল এই প্রতিমার। বিভিন্ন পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করে তারা তৈরি করে ফেলেছে এই প্রতিমা। প্রতিমার উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়।
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপারসন প্রফেসর মানসী রায়চৌধুরি জানিয়েছেন, এখন চারিদিকে গ্রিন দুর্গার মতো বিভিন্ন জিনিস দেখা যায়। বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছে টেকনো ইন্ডিয়া এবং পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি কীভাবে এই বর্জ্য পদার্থ ম্যানেজ করা হবে সেই বিষয়ে কাজ করছে তাঁরা। তিনি আরও বলেন যে ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই দুর্গা। এটি একটি আর্ট।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
তাঁর মতে গত দেড় মাস ধরে খেটে এই প্রতিমা তৈরি করেছে পড়ুয়ারা এবং টেকনো ইন্ডিয়া এই কাজের জন্য গর্বিত।
এই প্রতিমার উদ্বোধনের পরে ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে। সাবেকি থেকে থিম পুজো এবং সেখান থেকে এই নতুন ধরনের প্রতিমা। পুজোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির রমরমাও দেখা গিয়েছে।
তিনি বলেন পুজো মানে মায়ের চোখের দিকে ভক্তিভরে যদি তাকানো হয় তাহলে মনে হবে মা সব চাহিদা পুরণ করবেন। তিনি আরও বলেন ছোটোদের তৈরি করা এই প্রতিমা খুবই সুন্দর হয়েছে। এই প্রতিমার মধ্যে মায়ের সেই রূদ্র তেজ দেখা গিয়েছে যা এখনকার সব মেয়েদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। বর্জ্য দিয়ে তৈরি হলেও এই প্রতিমার মধ্যে সেই আবেগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ছোটোদের ইন্সপায়ার করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রতিমা তৈরি সঙ্গে যুক্ত পড়ুয়ারা জানিয়েছে যে দেড় মাসের এই কাজ তাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এমনকি কীভাবে প্রতিমা তৈরি করা হয় সেই বিষয়েও জ্ঞান আহরণ করেছে তাঁরা। পাশাপাশি এই কিছুদিনে সবথেকে বড় যে শিক্ষা তাঁরা পেয়েছে তা হল একসঙ্গে কাজ করার শিক্ষা।