অভিশপ্ত সেই দিনের পুলিসি ব্যবস্থার কথা
যেভাবেই সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু হোক না কেন, পুলিস কোনওভাবেই তার দায় এড়াতে পারে না। পুলিসি ব্যবস্থা যা করা হয়েছিল এবং পদস্থ যে কর্তারা এই কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কোনও দায়িত্বই পালন করেননি বলে পুলিস মহলেই অভিযোগ উঠেছে।
যেভাবেই সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু হোক না কেন, পুলিস কোনওভাবেই তার দায় এড়াতে পারে না। পুলিসি ব্যবস্থা যা করা হয়েছিল এবং পদস্থ যে কর্তারা এই কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কোনও দায়িত্বই পালন করেননি বলে পুলিস মহলেই অভিযোগ উঠেছে।
কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়েছিল চারটি বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি। কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হওয়া মিছিলের জন্য পুলিস ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার টু, নর্থ। ছিলেন দুজন ইন্সপেক্টর। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট মিলিয়ে চার জন। অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর চারজন। কুড়িজন লাঠিধারী পুলিস। দুজন কাঁদানে গ্যাসধারী পুলিস। এক সেকশন টাস্ক ফোর্স বা আটজন লাঠি ও ঢালধারী পুলিস। চারজন মহিলা কনস্টেবল। একটি ওয়ারলেস ভ্যান ছিল। ছিল দুটি গাড়ি। এই পুলিস বাহিনী মিছিলের সামনে ও পিছনে মোতায়েন করা হয়। মিছিলের সঙ্গে এসে এই বাহিনী ধর্মতলায় রাণী রাসমনি রোডে থাকা মূল বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
রাণী রাসমণি রোডে পুলিসি ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন ডিসি সাউথ। তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য ছিলেন ডিসি ষষ্ঠ বাহিনী। অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার পদের তিন জন ছিলেন। ইন্সপেক্টর ছিলেন চারজন। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট মিলিয়ে ছিলেন সাতজন। লাঠিধারী পুলিস ছিল ৪০ জন। গ্যাসধারী পুলিসের সংখ্যা ছিল চার জন। লাঠি ও ঢালধারী পুলিস ছিল দু সেকশন, অর্থাত্ ১৬ জন।
মহিলা পুলিসকর্মীদের একজন ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর। একজন অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও আট জন কনস্টেবল। ছিল দুটি ওয়ারলেস ভ্যান। পুলিসি নির্দেশিকার এর পরের অংশটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আইন অমান্যকারীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ওসি ট্রান্সপোর্ট-কে বলা হয়েছিল কুড়িটি গাড়ি পাঠাতে।