দেশের মধ্যে প্রবীণতম, করোনা জয় করে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন ডায়মন্ড হারবারের ৯৯ বছরের বৃদ্ধ
"সারা দেশের মধ্যে তিনিই প্রবীণতম ব্যক্তি যিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।"
তন্ময় প্রামাণিক : দেশের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন ৯৯ বছরের শ্রীপতি নয়াবান। আজ দুপুরে কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবারের বাড়িতে ফিরলেন তিনি। করোনার আতঙ্কে ত্রাহি ত্রাহি রব চারদিকে। সেখানে আশার আলো দেখাচ্ছেন এরাজ্যেরই ৯৯ বছরের বৃদ্ধ শ্রীপতি নয়াবান। দেশের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে করোনা জয় করে সকলকে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন ৯৯ বছরের বৃদ্ধ। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসায় সাফল্যের নজির তৈরি করল কলকাতাও।
সরকারি প্রমাণপত্র অনুযায়ী বয়স ৯৯ বছর। যদিও শ্রীপতির দাবি, তাঁর বয়স ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। কয়েকদিন ধরে জ্বর এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন শতবর্ষ ছুঁইছুঁই শ্রীপতি। এরপর গত ২৫ জুন ডায়মন্ড হারবারের স্বাস্থ্যকর্তার নির্দেশে তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়। শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলতেই কলকাতার কাঁকুরগাছিতে চারিংক্রস নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে একাধিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে শ্রীপতির চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসায় সাড়া দিতে থাকেন বৃদ্ধ। পর পর পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনা মুক্তির রিপোর্ট মেলে।
এমন ঘটনায় চিকিৎসকদের লড়াই করার সাহস আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপতির চিকিৎসক নার্গিস পারভিন। পারভিন বলেন, "আমাদের দেশের প্রবীণ ব্যক্তি এই শ্রীপতি। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। আমরা তার চিকিৎসা করি। তিনি সুস্থ হয়েছেন। এই লড়াই আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে তিনিই প্রবীণতম ব্যক্তি যিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। এটা আমাদের কাছে একটা উদাহরণ। করোনা যে কোনও ভয় নয়, সাহস দিয়ে জয় করতে হবে, এটা যেন উনি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।"
৯৯ বছরের বৃদ্ধ শ্রীপতি সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে খুশি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। নার্সিংহোমের এক কর্তার কথায়, সরকার তাঁদের নানান রকমভাবে সাহায্য করেছে। তাই তাঁরা ভালোভাবে কাজ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন, হামলার ঘটনায় খোঁজ নিতে ফোন অমিতের, 'রোজ-ই হয়', স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নালিশ দিলীপের