ছয়ই ডিসেম্বর তৃণমূলের সংহতি দিবস ঘিরে দানা বাঁধছে বিতর্ক, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে মাথায় রেখেই কি এই উদ্যোগ, উঠছে প্রশ্ন

ছয়ই ডিসেম্বর সংহতি দিবস পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন তৃণমূলের এই বিশেষ প্রকাশ্য কর্মসূচি ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এতবছর কোনও হেলদোল না থাকলেও, এবার হঠাত্‍ কেন এমন কর্মসূচি নিল তৃণমূল? লোকসভা ভোটের আগে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই কি এই উদ্যোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?

Updated By: Dec 2, 2013, 06:32 PM IST

ছয়ই ডিসেম্বর সংহতি দিবস পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন তৃণমূলের এই বিশেষ প্রকাশ্য কর্মসূচি ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এতবছর কোনও হেলদোল না থাকলেও, এবার হঠাত্‍ কেন এমন কর্মসূচি নিল তৃণমূল? লোকসভা ভোটের আগে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই কি এই উদ্যোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?

১৯৯৮ সালের তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মসূচির তালিকায় ছয়ই ডিসেম্বর দিনটি কখনই তেমন কোনও গুরুত্ব পায়নি। বরং বাবরি মসজিদ ধবংসের এই দিনে বামেরা বরাবর একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবছর অবশ্য তার ব্যতিক্রম হতে চলেছে। এবারই প্রথম ছয়ই ডিসেম্বর সংহতি দিবস পালন করবে তৃণমূল। এজন্য তৃণমূল যুব সংগঠনের উদ্যোগে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখানেই প্রশ্ন, হঠাত্‍ এমন কি হল যে ছয়ই ডিসেম্বর দিনটি এবছর এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল রাজ্যের শাসক দলের কাছে?

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০১৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-ঘনিষ্ঠ, এমন কানাঘুষো রাজনীতির দুনিয়ায় নতুন না। তৃণমূল কংগ্রেস ইউপিএ ছাড়ার পর আরও জোরালো হয় এই জল্পনা। কয়েকমাস আগে হাওড়া লোকসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও তুলে নেয় বিজেপি। এই ঘটনা আরও পোক্ত করেছে জোট-সম্ভাবনাকে।

ইদানিং দেশের নানা প্রান্তে জনসভায় বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর মুখে মমতার প্রশংসা শোনা যাচ্ছে। এর পাল্টা তৃণমূল শিবির থেকে সরাসরি মোদীর প্রশংসা শোনা না গেলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায় বা দলের শীর্ষস্তরের কোনও নেতানেত্রী নাম করে কখনই মোদীকে আক্রমণ করেননি। অথচ কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে বহুবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়েরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। বিজেপি-ঘেঁষা দলের ইমেজ ছেঁটে ফেলতেই কি এবার সংহতি দিবস পালনের কৌশল নিলেন দলনেত্রী? লক্ষ্য, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক?

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে দলের শক্তি বাড়াতে হলে আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্য থেকে অনেক বেশি সিট পেতেই হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। একথা বিলক্ষণ জানেন দলনেত্রী নিজেও। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছতে বড় ভূমিকা নেবে রাজ্যের প্রায় ২৫% মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক। সেই দিকে তাকিয়েই নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করার তাগিদে তৃণমূলের এই সংহতি দিবস পালনের উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.