প্রেম, প্রতিশোধে, খুন, পাল্টা খুন শহরের বুকে, উদ্ধার ৫টি দেহ
শহরের বুকে চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যাকাণ্ড। দক্ষিণ শহরতলির দু প্রান্তে খুন মোট পাঁচজন। দুই হত্যাকাণ্ডেরই কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রোমোটার শঙ্কর কর্মকার।
ঘটনা ১-
বৃহস্পতিবার সকালে হরিনাভির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা ও তাঁর ছেলের দেহ। জানা যায়, মৃতেরা পৌলমী ও অরিত্র কর্মকার। প্রমোটার শঙ্কর কর্মকারের স্ত্রী ও ছেলে। কিন্তু, ফ্ল্যাটে খোঁজ মেলেনি শঙ্করের।
ঘটনা ২-
দুপুরে গড়ফার পূর্বাচলের একটি ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় শঙ্কর কর্মকারের দেহ। ওই ফ্ল্যাটেই পড়ে ছিল শঙ্করের প্রণয়ী রোহিনী চক্রবর্তী ও তাঁর মেয়ে ইয়াশির দেহ। দুই জায়গা থেকে উদ্ধার শঙ্কর কর্মকারের ছবি দেখে পুলিস সিদ্ধান্তে পৌঁছয় দুটি খুনের পিছনেই রয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, গতকাল রাতে প্রথমে হরিনাভিতে স্ত্রী পৌলমী ও ছেলে অরিত্রকে খুন করে শঙ্কর। রাতেই হরিনাভির বাড়ি ছেড়ে পৌছে যায় গড়ফার ফ্ল্যাটে।
রাত কাটায় প্রণয়ী রোহিনীর সঙ্গে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার গ্লাস ও অর্ধেক খালি মদের বোতল দেখে পুলিসের অনুমান খুব ভোরে উঠে মদ খেতে বসেন শঙ্কর। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন সকালে ফ্ল্যাট থেকে ঝগড়াঝাটির আওয়াজ শুনেছেন তারা। যার থেকে পুলিসের অনুমান, রোহিনীকে স্ত্রী ও ছেলের খুনের কথা জানায় শঙ্কর। এরপরই বচসা বেধে যায় দুজনের মধ্যে। রাগের মাথায় প্রথমে তিন বছরের মেয়ে ইয়াশিকে খুন করে শঙ্কর। বেডরুমে খাটের ওপর পাওয়া গিয়েছে ইয়াশির রক্তমাখা দেহ। পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন। ওই ঘরেরই মেঝেতে পড়ে ছিল শঙ্করের নগ্ন দেহ। হাতের শিরা কাটা, যৌনাঙ্গ কাটা। অন্য বেডরুমের বাইরে পড়ে ছিল রোহিনীর দেহ। পরনে সায়া, ব্লাউজ। কানের পিছনে আঘাতের চিহ্ন।
পুলিসের অনুমান মেয়েকে খুন করার সময় রোহিনী বাধা দিতে গেলে তাকেও কোপাতে শুরু করে শঙ্কর। পাল্টা শঙ্করের ওপর এলোপাথাড়ি ব্লেড চালাতে শুরু করে রোহিনী। প্রথমে মারা যায় রোহিনী। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বেলার দিকে মারা যায় শঙ্কর কর্মকারও। ঘরে পাওয়া গিয়েছে দুটি রক্তমাখা ব্লেড ও একটি ছুরি। পাওয়া গিয়েছে জলখাবারের প্লেট। যাতে রয়েছে আলু সেদ্ধ জাতীয় কোনও খাবার। সারা ফ্ল্যাট রক্তে মাখামাখি। ধস্তাধস্তির ফলে ভেঙে গিয়েছে টিভি।