Haridevpur Home: বিভীষিকা! খাস কলকাতায় দৃষ্টিহীনদের হোমে ২ নাবালিকাকে ধর্ষণ!
দৃষ্টিহীনতার সুযোগ নিয়ে 'নির্যাতন'। হোমের মালিক, অধ্যক্ষ ও রাঁধুনিকে আটক করল পুলিস। আবাসিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল অন্যত্র।
পিয়ালী মিত্র: দৃষ্টিহীনতার সুযোগ নিয়ে 'নির্যাতন'। কীভাবে? কলকাতায় এক হোমে ২ নাবালিকাকে ধর্ষণ, আর ১ জনের শ্লীলতাহানি! অভিযোগ দায়ের করা হল শিশু সুরক্ষা কমিশনে। আটক হোমের মালিক, অধ্যক্ষ ও রাঁধুনি। ঘটনাস্থল, হরিদেবপুর।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly: 'মশাইরা সব সাবধান'! নির্দেশনামায় লিখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়...
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের ওই হোমটি বেসরকারি। হোমে যারা থাকে, তারা সকলেই দৃষ্টিহীন। শুধু তাই নয়, আবাসিকদের জন্য় রয়েছে একটি স্কুলও। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই হোমের বিরুদ্ধে নানা বেআইনি কাজকর্ম চলত। নির্যাতনের শিকার হত নাবালিকারা! কিন্তু ভয়ে মুখ খুলত না কেউ।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় শিশু সুরক্ষা কমিশনে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হোমে হানা দেয় হরিদেবপুর থানার পুলিস। কবে? আজ, বৃহস্পতিবার। তারপর? পুলিসের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করে দুই দৃষ্টিহীন নাবালিকা। আর একজন বলে, তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে! স্রেফ হোমের মালিক, অধ্যক্ষ ও রাঁধুনিকে আটক করা নয়, আবাসিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'মহাবীর জৈনের নামে আমাদের বর্ধমান জেলা বানিয়েছি'!
এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে হোমে নজরদারি। সমাজকর্মী শ্বাশ্বতী ঘোষ বলেন, 'হোমের লাইসেন্স যাঁদের দেওয়ার কথা, এবং যাঁদের পরিদর্শন করার কথা, তাঁরা কী যথাযথ পরিদর্শন করতেন? আমি যতদূর জানি, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর লাইন্সেস রিনিউ হওয়ার কথা। ফলে তারা মজা পেয়ে যায়, যারা এই ধরণের অত্যাচার চালায়'। তাঁর দাবি, 'এখন যখন ঘটনাটা সামনে এসেছে, তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করতেই হবে। আগেরবার যেমন হল, যখন গুড়াপে হোমের ব্যাপারটা সামনে এল, তখন হোমটাই বন্ধ করে.... অনেক মেয়েরই কিন্তু যাওয়ার সঙ্গে জায়গা নেই। ফলে তাদের নিরাপত্তা ও জীবন-জীবিকা যাতে ঠিক মতো চলতে পারে, সেটা সরকারকেই দেখতে হবে'।