কী ভাবে ধরা পড়ল সাজিদ, ২৪ ঘণ্টার EXCLUSIVE প্রতিবেদন

শেখ রহমতুল্লা ওরফে সাজিদ। বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। পরিচয় ভাঁড়িয়ে ছিল এদেশে। যোগাযোগ রাখত জেএমবি প্রধান সইদের সঙ্গে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের খবর পেয়ে গা ঢাকা দেয় ঝাড়খণ্ডে। তাহলে কীভাবে গ্রেফতার হল কলকাতার এয়ারপোর্ট এলাকা  থেকে। দেখুন চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।

Updated By: Nov 9, 2014, 09:57 PM IST

কলকাতা: শেখ রহমতুল্লা ওরফে সাজিদ। বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। পরিচয় ভাঁড়িয়ে ছিল এদেশে। যোগাযোগ রাখত জেএমবি প্রধান সইদের সঙ্গে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের খবর পেয়ে গা ঢাকা দেয় ঝাড়খণ্ডে। তাহলে কীভাবে গ্রেফতার হল কলকাতার এয়ারপোর্ট এলাকা  থেকে। দেখুন চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।

বাংলাদেশে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় প্রথম সারিতে নাম রয়েছে শেখ রহমতুল্লা ওরফে সাজিদের। দু হাজার বারোয় বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকে সাজিদ। শিমুলিয়ার বোরহান শেখের ব্যবস্থাপনায় পাকাপাকিভাবে এরাজ্যে থাকা শুরু।

বোরহান শেখের ভোটার কার্ড জাল করে নিজেই ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করে সে।  ভোটার কার্ডে বোরহানের ছবির অংশ ছুরি দিয়ে তুলে সেখানে নিজের ছবি বসায় । এরপর দফায় দফায় জেরক্স করে তৈরি করে  নকল ভোটার কার্ড । একই কায়দায় বানানো হয় ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্সও।

ভারতে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষনেতা হিসেবে সাজিদই যোগাযোগ রাখত বাংলাদেশে জেএমবি প্রধান সইদির সঙ্গে। এরাজ্যে নদিয়া, বর্ধমান, মালদা, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় স্থান ছিল সাজিদের ডেরা। তবে কোনও ডেরাতেই সাত থেকে দশ দিনের বেশি থাকত না সে। সংগঠনের মধ্যেও সাজিদের গতিবিধি গোপন থাকত। ব্যবহার করত না মোবাইল। তার সঙ্গে সংগঠনের কেউ সরাসরি যোগাযোগও করতে পারত না। দরকার মতো জেহাদিদের সঙ্গে নিজেই যোগাযোগ করত সাজিদ।

NIA সূত্রে খবর, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের দিন মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ানের একটি গ্রামে ছিল সাজিদ। টিভিতে বিস্ফোরণের খবর দেখে সে গা ঢাকা দেয় ঝাড়খণ্ডে। কিন্তু হিন্দিতে মোটেও সড়গড় নয় সাজিদ।  পকেটে ছিল না পর্যাপ্ত টাকাও। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ফের এরাজ্যে ফেরে সাজিদ।

টাকার জন্য মরিয়া সাজিদ যোগাযোগ করেছিল পুরনো এক লিঙ্কম্যানকে। আগে বেশ কয়েকবার ওই লিঙ্কম্যানই বিমানবন্দর এবং দূর্গানগর এলাকায় টাকা পৌছে দিয়েছিল তাকে।  দশ দিন আগে সেই লিঙ্কম্যানের খোঁজ পায় পুলিস। সাজিদের কাছে হাওয়ালার মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে টাকা আসত। সেই টাকা এদেশে জঙ্গি প্রশিক্ষণ এবং বিষ্ফোরক তৈরিতে ব্যবহার হত বলে  গোয়েন্দাদের অনুমান।

ধরা পড়ার সময় সাজিদের পকেটে ছিল মাত্র ছাপান্ন টাকা।  পুলিসের সামনে ছোটখাটো চেহারার সাজিদকে চিনতে ভুল করেনি ওই লিঙ্কম্যান।  ভারতে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষনেতা হওয়ায় সবসময় চার-পাঁচ জন সদস্য পরিবৃত হয়ে চলা ফেরা করত সাজিদ। রবিবার ধরা পড়ার সময় সাজিদের সঙ্গে অবশ্য কোনও সঙ্গী ছিল না। গোয়েন্দাদের অনুমান, আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি গোপন রাখতেই সম্ভবত একা এসেছিল সাজিদ।

 

.