Covid-19: বুস্টার ডোজের এখনই প্রয়োজনীয়তা নেই, জানালেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানান হয়েছে যে এখনই বুস্টার ডোজের উপর ভরসা করা হচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পেতে বুস্টার ডোজের কি প্রয়োজন রয়েছে? সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে উঠেছে এই প্রশ্ন। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানান হয়েছে যে এখনই বুস্টার ডোজের উপর ভরসা করা হচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামিনাথন জানান, বুস্টার ডোজের এখনই প্রয়োজনীয়তা নেই।
এই বুস্টার ডোজ আসলে ইমিউনোলজিকাল মেমরি। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সতর্ক করতে এই ডোজ কাজে আসে। দুটি ডোজকে একত্রে করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক ডোজ বলা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, সেই আবহে তৃতীয় ডোজকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ।
আরও পড়ুন, 'করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য, ৬-৮ সপ্তাহে আছড়ে পড়তে পারে', জানালেন AIIMS প্রধান
যদিও, করোনা মোকাবিলায় এটি একশো শতাংশ কার্যকরী কি না সেটা এখনও প্রমাণ হয়নি। তাই সৌম্য স্বামিনাথন জানান যে বুস্টার ডোজের এখনই প্রয়োজনীয়তা নেই। টিকা ঘাটতির জেরে বিশ্বের বহু মানুষ এখনও টিকা পাননি। তাই এখনই এই ডোজ নিয়ে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন আসেনি।
ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজের কার্যকারীতা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সুরক্ষা পেতে নিয়মিত বিরতিতে বুস্টার ডোজ নিতে হয় বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে। করোনা যেভাবে অতিমারি সৃষ্টি করেছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। 'কোভ-বুস্ট' নামের সর্বশেষ এই গবেষণায় এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।
এই ট্রায়ালে এইরকম সাতটি টিকা প্রয়োগ করে পরীক্ষা চালানো হবে। এগুলোর মধ্যে আছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, নোভাভ্যাক্স এবং জ্নসেন টিকা। যদিও সৌম্যা স্বামিনাথনের মতে, দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশি দেখা যাচ্ছে। জ্বর, গায়ে ব্যথার মতো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে বেশি। তাই বুস্টার ডোজ নিয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাচ্ছে না।