অক্সফোর্ডের করোনা টিকার প্রয়োগে এখনও পর্যন্ত কোনও বিরূপ প্রভাব চোখে পড়েনি!
জেনে নিন এই টিকা সম্পর্কে আর কী জানিয়েছেন চিকিৎসক ও পর্যবেক্ষকরা...
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার থেকে পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়ালের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। Covishield-এর এই ট্রায়ালে দেশজুড়ে ১৭টি কেন্দ্রে ১,৬০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এটি প্রয়োগ করা হবে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে ক’জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covishield প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের শরীরে কোনও এই টিকার কোনও বিরূপ প্রভাব চোখে পড়েনি। এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, পর্যবেক্ষকরা।
ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চলা Covishield-এর এই ট্রায়ালের দায়িত্বে থাকা ডঃ সুনিতা পলকর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আরও দু’জন মহিলা ও একজন পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে টিকা নেওয়ার পরবর্তী ব্যথা বা জ্বরের মতো কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অসুস্থতা ছিল না। জানা গিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৯ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সুস্থ ও নিরোগ স্বেচ্ছাসেবকদের উপর মোট দু’দফায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। প্রত্যেক ডোজের পর স্বেচ্ছাসেবকদের ১৪ দিন বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এই স্বেচ্ছাসেবকদের মোট দু’মাস বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তার পর সেই পরীক্ষার ফলাফল বিশ্বের অন্যান্য দেশে হওয়া পরীক্ষার ফলের সঙ্গে খতিয়ে দেখে তবেই এই টিকা বাজারে ছাড়ার উপযুক্ত কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে ২ মিটারের দূরত্বও যথেষ্ট নয়! সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
টিকার ইতিবাচক ফলাফলের আশায় বুক বেঁধেছে গোটা দেশ। এই ট্রায়ালের ফলাফল আশাব্যঞ্জক হলে প্রতি মাসে অন্তত ১০ কোটি টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। চুক্তি অনুযায়ী, মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশই পাবে ভারত।