তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হবে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার লক্ষাধিক ডোজ! জানিয়ে দিল সিরাম ইনস্টিটিউট

একটি সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান, সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jul 18, 2020, 06:13 PM IST
তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হবে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার লক্ষাধিক ডোজ! জানিয়ে দিল সিরাম ইনস্টিটিউট
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৫৫টি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এই ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের মধ্যে তিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হল অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19 বা AZD1222)।

ইতিমধ্যেই এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca) আর বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। শনিবার অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক সম্পর্কে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রথম প্রতিষেধকটি যে করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হবে, এমন কিছু নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।”

সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও জানান, তিন মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের লক্ষাধিক ডোজ তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সিরাম ইনস্টিটিউট। তবে দেশের সমস্ত মানুষের জন্য টিকার যোগান দিতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে। তিনি জানান, ভারতে অন্তত ৮ কোটি করোনা প্রতিষেধকের ডোজ লাগবে। প্রাথমিক ভাবে অন্তত ১ কোটি ডোজ দ্রুত বাজারে ছাড়ার প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে ফাইজার, জিএসকে, ভারত বায়োটেকের মতো সংস্থাগুলিও আগামী বছরের মধ্যে অন্তত ৫-৬ কোটি করোনা প্রতিষেধকের ডোজ বাজারে ছাড়তে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শেষ হল প্রথম পর্বের ট্রায়াল! ৩৭৫ জনের উপর প্রয়োগ করা হল ভারতের প্রথম করোনা টিকা Covaxin!

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম তাঁদের তৈরি টিকা, এমনটাই দাবি করলেন অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধাণ ডঃ সারা গিলবার্ট। ডঃ গিলবার্ট জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই টিকা। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছর খানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম, দাবি গিলবার্টের। তাই করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ‘নিরাপদ ও কার্যকরী’ প্রতিষেধের অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ।

.