নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
নিয়মিত যৌনমিলন সন্তানলাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তথাকথিত 'নন ফার্টাইল' পিরিয়ডেও যৌন মিলন লাভজনক। যৌনমিলনের ফলে শরীরে বিবিধ পরিবর্তন হয়। নতুন এক গবেষণা বলছে নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানসম্ভাবা হওয়ার পথ মসৃণ করে তোলে।
নয়া দিল্লি: নিয়মিত যৌনমিলন সন্তানলাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তথাকথিত 'নন ফার্টাইল' পিরিয়ডেও যৌন মিলন লাভজনক। যৌনমিলনের ফলে শরীরে বিবিধ পরিবর্তন হয়। নতুন এক গবেষণা বলছে নিয়মিত যৌনমিলন মহিলাদের সন্তানসম্ভাবা হওয়ার পথ মসৃণ করে তোলে।
সন্তানপ্রার্থী যুগলদের ডাক্তাররা তাই নিয়মিত যৌনমিলনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
''গর্ভবতী হওয়ার জন্য মহিলাদের প্রয়োজন সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত যৌনমিলন। এমনকি তথাকথিত 'নন ফার্টাইল পিরিয়ড'-য় যৌনমিলন আবশ্যিক। যদিও কীভাবে এটি কাজ করে তা এখনও পরিস্কার নয়।'' জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিয়েরনি লরেন্স।
তিনি জানিয়েছেন ''যৌনমিলন গর্ভধারণের জন্য মহিলাদের শরীরের অন্যক্রমতা বৃদ্ধি করে। এই ধরণের গবেষণা এই প্রথম।''
ফার্টাইল পিরিয়ড ছাড়াও অন্য সময়ের যৌন মিলন কীভাবে ফার্টিলিটি বৃদ্ধি করে সেই পুরোনো ধাঁধার নয়া উত্তর এই গবেষণা। মন্তব্য লরেন্সের।
মেন্ট্রুয়াল সাইকেল (মাসিক চক্র) চলাকালীন ৩০ জন সুস্থ মহিলার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। এদের মধ্যে অর্ধেক নিয়মিত যৌন মিলন করেন। বাকি অর্ধেকের যৌন জীবন অনিয়মিত।
এই গবেষণার ফলাফল সংক্রান্ত দুটি পত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি ও ফিজিওলজি অ্যান্ড বিহেভিয়ার নামক দুটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম গবেষণা পত্রটিতে লরেন্স ও তাঁর সংকর্মীরা দেখিয়েছেন যৌনভাবে সক্রিয় মহিলাদের হেল্পার টি সেলস ও সেই সমস্ত প্রোটিন যা টি সেল যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করে তার সংখ্যা বেশি।
দ্বিতীয়টিতে তাঁরা এই দুই গ্রুপের মধ্যে অ্যান্টিবডি সংখ্যার পার্থকি চিহ্নিত করেছেন।
হেল্পার টি সেল শরীরের অন্যক্রমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সমস্ত কোষকে সক্রিয় করে তোলে যারা, বাইরে থেকে শরীর প্রবেশ করা অবাঞ্চিত মাইক্রোবসকে ধ্বংস করে।
লরেন্সের দাবি তাঁদের গবেষণা প্রমাণ করেছে নিয়মিত যৌনমিলনের মত সামাজিক ব্যবহার শরীরের ইম্যুনসিস্টেমকে অনেক বেশি কার্যকরী করে তোলে।
যে মহিলারা নিয়মিত যৌনমিলনে লিপ্ত থাকেন সন্তান ধারণের জন্য তাঁদের ইম্যুনসিস্টেম অনেক বেশি সক্রিয় ও কার্যকরী হয়।