জরায়ূতে কপার খুঁজে পেলেন না ডাক্তার, ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দেবে স্বাস্থ্য দফতর
এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করল পুরুলিয়া জেলার ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ৫ মাসের মধ্যে জরিমানার অর্থ অভিযোগকারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ওয়েব ডেস্ক:এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করল পুরুলিয়া জেলার ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ৫ মাসের মধ্যে জরিমানার অর্থ অভিযোগকারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাজ্য সরকারের জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে ২০১২ সালের ১৭ জুলাই জরায়ূতে কপারটি পরেন পুরুলিয়া জেলার ঝালদার ১ নম্বর ব্লকের আকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সুলেখা মাহাত। অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরিবর্তে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কয়েকজন চিকিত্সা কর্মী এই কাজটি সম্পন্ন করেন। কপারটি পরার প্রথম দিন থেকেই সুলেখাদেবীর অস্বস্তি শুরু হয়। বাধ্য হয়ে কপারটি খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান তিনি। কিন্তু মেডিক্যাল টিম সুলেখা দেবীর জরায়ু থেকে কপার টি খুলতে ব্যর্থ হয়। অভিযোগ, তাঁরা নাকি কপারটি খুঁজেই পাননি।
অবশেষে রাচী মেডিক্যাল কলেজে দুটি অস্ত্রোপচারের পর কপারটির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান ঝালদার সুলেখাদেবী। তবে এরজন্য তাঁর শুধু শারীরিক কিম্বা মানসিক নয়। অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়।
একমাস রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এবিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সুলেখা দেবী ও তাঁর স্বামী স্বপন মাহাত। কাজ না হওয়ায় অবশেষে জেলার ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করে আদালত। তাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে সুলেখাদেবীকে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন সুলেখা দেবী। জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শরীরে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই ঘটনা যে রাজ্য সরকারের জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পক্ষে একটা বড় ধাক্কা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।