বিরল 'প্লাস্টিক বেবি'র জন্ম নিয়ে বিস্মিত অমৃতসর
প্লাস্টিক বেবির কথা কখনও শুনেছেন? দেখলে মনে হয় রবারের পুতুল। সরীসৃপের মতো গা থেকে খসে পড়ে চামড়া। এমনই এক শিশুর জন্ম হয়েছে পঞ্জাবের অমৃতসরে। বিরল এই শিশুই এখন অমৃতসরের রাজাসনসি এলাকার বিস্ময়ের কারণ।
ওয়েব ডেস্ক: প্লাস্টিক বেবির কথা কখনও শুনেছেন? দেখলে মনে হয় রবারের পুতুল। সরীসৃপের মতো গা থেকে খসে পড়ে চামড়া। এমনই এক শিশুর জন্ম হয়েছে পঞ্জাবের অমৃতসরে। বিরল এই শিশুই এখন অমৃতসরের রাজাসনসি এলাকার বিস্ময়ের কারণ।
শুক্রবার অমৃতসর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে গুরু নানক দেব মেডিক্যাল হাসপাতালে জন্ম হয় এই শিশুর। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন এই ঘটনা এতটাই বিরল যে ৬ লক্ষে একজন শিশুর এমন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এদের বলে কলোডিয়ান বেবিজ। হাসপাতালের এক চিকিত্সক জানান, যখনই শিশুটিকে কেউ ছোঁয় তখনই সে কাঁদতে শুরু করে। রবারের পুতুলের মতো দেখতে শিশুটির মুখ একেবারে মাছের মতো। চোখ ও ঠোঁট টুকটুকে লাল। মায়ের কাছ থেকে খেতেও পারছে না সে।
গুরু নানক দেব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশুবিভাগের প্রধান ড. এম এস পান্নু বলেন, এটা এক ধরণের জিনগত ত্রুটি। কনজেনিটাল ইচথিওসিসের কারণে খসে পড়ে শরীরের চামড়া। তবে কলোডিওন বেবিদের ১০ শতাংশের এই ধরণের ত্বকের নিচে স্বাভাবিক ত্বকের স্তর থাকে। সব কলোডিওন বেবিদের মতো এই শিশুটির ত্বকও খুব মোটা। জন্মের পর কলোডিওন বেবিদের চামড়ায় ফাটল দেখা দেয়। ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনা থেকেই খসে পড়ে মেমব্রেন। তবে এই সময় সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে প্রবল। যার থেকে মৃত্যুও হতে পারে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরণের শিশুরা প্রি-ম্যাচিওর হয়। শুকনো কলোডিনের মতো দেখতে শক্ত, হলুদ, চকচকে চামড়ায় মোড়া থাকে তাদের শরীর। এই ধরণের চামড়াকে সসেজ স্কিন বলে। এই ত্বক খসে পড়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত যন্ত্রনাদায়ক।
তবে এটা প্রথম নয়। ২০১৪ সালেও অমৃতসরের এক সিভিল হাসপাতালে জন্ম হয় এমনই এক প্লাস্টিক বেবির।