এই ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৫০% বেশি! দাবি বিজ্ঞানীদের
আসুন এই বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০১ জন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
ভারতেও পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। ভারতের এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। স্পেনকে টপকে মোট করোনা আক্রান্তের হিসাবে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ভারতের নাম। এ দেশে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ১৩৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, যে সব ব্যক্তির ব্লাড গ্রুপ A, তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি!
সম্প্রতি জার্মানির কিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Kiel) একদল গবেষক দাবি করেছেন, যাঁদের ব্লাড গ্রুপ A, তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন বয়সের ষোলশোর (১,৬০০) বেশি করোনা আক্রান্ত এবং একই সঙ্গে করোনা হয়নি এমন ২,২০৫ জনের ডিএনএ-র গঠন ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তাঁরা।
জার্মান গবেষকদের দাবি, এই সমীক্ষায় তাঁরা দেখেছেন, যে সব ব্যক্তির ব্লাড গ্রুপ A, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এই করোনাভাইরাসে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আগামী দিনেও এই গ্রুপের রক্ত যাঁদের শরীরে আছে তাঁদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগেরই ব্লাড গ্রুপ A। জার্মান গবেষকদের আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে ব্লাড গ্রুপের একটা যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেন একদল চিনা বিজ্ঞানীও।
জার্মান বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, A গ্রুপের রক্তে যেমন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তেমনই O গ্রুপের রক্তের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকিটা অনেকটাই কম। অর্থাৎ, যাঁদের শরীরে O গ্রুপের রক্ত, তাঁদের এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি শক্তিশালী করোনা-রোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা
তবে এই গবেষণাটির সীমাবদ্ধতা এবং অসম্পূর্ণতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন মহলের বিজ্ঞানীরা। কারণ, এই সমীক্ষাটি শুধুমাত্র জার্মানির করেয়কটি হাসপাতালের করোনা আক্রান্তদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। এই গবেষণায় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের করোনা আক্রান্তদের তথ্যই নেওয়া হয়নি। তাই অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা এখনও এই তত্বের সঙ্গে একমত হতে পারেননি।