হাঁপানির কষ্ট কমাতে কাজে লাগান এই অব্যর্থ ঘরোয়া টোটকাগুলি
এ বার জেনে নেওয়া যাক হাঁপানির সমস্যার উপসমে কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা...
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু শীতকাল বা বর্ষাকালেই নয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনও সময়েই হাঁপানি সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। ইদানীংকালের মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে অনেকের মধ্যেই বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা।
কেন হয় এই হাঁপানির সমস্যা?
আমাদের ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী অজস্র সরু সরু নালী পথ রয়েছে। অ্যালার্জি, ধুলো বা অন্যান্য কারণে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে উঠলে অক্সিজেন বহনকারী এই সব নালী পথগুলি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না আর তা থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা সমস্যা শুরু হয়। আসুন এ বার জেনে নেওয়া যাক হাঁপানির সমস্যার উপসমে কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা...
১) হাঁপানি সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা টোটকা হল মধু। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ চামচ মধুর সঙ্গে সামান্য দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারলে শ্বাসকষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। হাঁপানি ছাড়া সর্দি-কাশিতেও এই মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী।
২) জলের মধ্যে এক টুকরো আদা ফেলে কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণ সামান্য ঠান্ডা করে খেয়ে নিন। শুধু হাঁপানি নয়, সর্দি-কাশির সমস্যাতেও আদার রস খুবই উপকারী।
৩) এক কাপ দুধের মধ্যে ৪ কোয়া রসুন ফেলে ফুটিয়ে নিন। কিছুটা ঠান্ডা করে ওই রসুন-দুধের মিশ্রণ খেয়ে নিন। ফুসফুসের যে কোনও রোগ নিরাময়ে এই টোটকা খুবই উপকারী।
আরও পড়ুন: পেঁপের বীজ ফেলে দিচ্ছেন? এর আশ্চর্য ওষধিগুণগুলি সম্পর্কে জানেন না বুঝি!
৪) পাতি লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ১ গ্লাস জলের মধ্যে একটা গোটা পাতি লেবুর রস আর সামান্য চিনি দিয়ে রোজ খেতে পারলে হাঁপানির কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।
৫) পেঁয়াজ আমাদের নাসাপথকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্ট দূর করতে কাঁটা পেঁয়াজ খেয়ে দেখতে পারেন।
৬) হাঁপানি সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার তেল খুবই কার্যকরী। ১ কাপ গরম জলের মধ্যে ৫ থেকে ৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল ফেলে ধীরে ধীরে ভেপার (ভাপ) নিন। দ্রুত উপকার পাবেন।
উল্লেখিত উপায়গুলি আধুনিক চিকিত্সাশাস্ত্রে পরীক্ষিত নয়। এগুলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত ঘরোয়া টোটকা মাত্র যা আপনাকে এই সমস্যা থেকে সাময়িক ভাবে মুক্তি দিতে পারে। তাই হাঁপানির সমস্যায় যখন তখন ওষুধ না খেয়ে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।