প্রথম পরীক্ষা সফল, এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা টিকার ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এর প্রস্তুতিতে মোদের্না!

প্রথম দফার সাপল্যের পর এ বার আরও বড় সংখ্যক মানুষের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় সংস্থা... 

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: May 27, 2020, 10:33 AM IST
প্রথম পরীক্ষা সফল, এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা টিকার ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এর প্রস্তুতিতে মোদের্না!

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিষেধক ছাড়া করোনাভাইরাসকে রোখা প্রায় অসম্ভব! এ কথা উদ্বেগের সঙ্গ জানিয়েছে খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘ। করোনা মোকাবিলায় প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এগুলির মধ্যে ২টির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। এই ২টি প্রতিষেধকের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি টিকার (ChAdOx1 nCoV-19) পরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে সাফল্যে দিকে এগোচ্ছে মোদের্না আরএনএ ভ্যাকসিন (Moderna RNA vaccine)।

ইতিমধ্যেই মার্কিন সংস্থা মোদার্নার গবেষকরা দাবি করেছেন, প্রথম দফায় আটজন স্বেচ্ছাসেবকের উপর তাদের তৈরি করোনা প্রতিরোধী ওষুধ mRNA-1237 প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে।

গবেষকদের দাবি, COVID-19-এর জেনেটিক কোড কাজে লাগিয়েই এই mRNA-1237 ওষুধটি তৈরি করেছে মোদার্না। সংস্থার দাবি, mRNA-1237 ওষুধটি সরাসরি ভাইরাসকে ধ্বংস না করলেও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। প্রথম দফার সাপল্যের পর এ বার আরও বড় সংখ্যক মানুষের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তার পর এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। এ বার তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন সংস্থার গবেষকরা। জানা গিয়েছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই mRNA-1237 ওষুধটির দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সেরে ফেলতে চায় সংস্থা।

প্রথম ট্রায়ালে mRNA-1237 ওষুধটির কতগুলি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। যখন ওষুধের ডোজ বাড়ানো হয়েছিল তখন বমি ভাব, জ্বর, পেশীতে সামান্য ব্যথা, মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি লক্ষ্য করেছেন ওই সংস্থার গবেষকরা। mRNA-1237-এর মাঝারি ডোজ দেওয়ার পরে ত্বক লাল হয়ে গিয়েছিল অনেকের। তবে এই সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ২৪ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয়নি বলেই দাবি করেছে সংস্থা।

আরও পড়ুন: আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে পরিস্থিতি! করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ সম্পর্কে সতর্ক করল WHO

মোট তিন পর্যায়ে মোদের্না আরএনএ ভ্যাকসিন (Moderna RNA vaccine)-এর ট্রায়াল চালানো হবে। তার পর বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

প্রথম পর্যায়ে ৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর ট্রায়ালের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০০ জনের উপর পরীক্ষা করা হবে mRNA-1237। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে, সেটির সাহায্যে এই ভাইরাস ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে মার্কিন সংস্থা মোদার্নার গবেষকরা জানান, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে সংগৃহিত অ্যান্টিবডির চেয়েও বহুগুণ শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম mRNA-1237 ওষুধটি। সংস্থার গবেষকদের দাবি, এই ওষুধের মাঝারি ক্ষমতার ডোজেই সবচেয়ে ভাল ফল মিলেছে।

.