প্রত্যাশিত সময়ের অনেক আগেই মিলতে পারে ভারতে তৈরি করোনা টিকা! ইঙ্গিত ICMR-এর
বুধবার ICMR-কে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই...
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিগত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ভারতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে! দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৭৩.১৮ শতাংশ হলেই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি দিল ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR)-এর ঘোষণা। ICMR জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে হয়তো প্রত্যাশিত সময়ের অনেক আগেই মিলতে পারে ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গব জানান, এমনিতে কোনও টিকার তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শেষ হতে ৬-৯ মাস সময় লাগে। তবে যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে জরুরি অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
সম্প্রতি ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল সামনে এসেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক! Covaxin-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দু’টি পর্যায়ে মোট ১,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covaxin পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে। এই ট্রায়ালের জন্য হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, দিল্লি ও পটনার AIIMS-সহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR)।
অন্যদিকে প্রথম পর্বের ট্রায়াল সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করেছে আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) তৈরি করোনার ডিএনএ টিকা (ZyCov-D)। জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) তৈরি করোনা টিকার (ZyCov-D) ট্রায়ালের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিষেধকের তিনটি জোড ২৮ দিন পর পর দেওয়ার কথা। টিকা প্রয়োগের পর এই ২৮ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবকদের পর্যবেক্ষণ করা হয়। একই নিয়মে টিকার দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালও পরিচালিত হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম করোনা টিকার উৎপাদনের দায়িত্বেও কি ভারত? ইঙ্গিত রুশ সরকারি সংস্থা RDIF-এর
ভারত বায়োটেকের Covaxin এবং জাইডাস ক্যাডিলার করোনা টিকা ZyCov-D-এর এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল প্রায় শেষের পথে। বুধবার ICMR-কে উদ্ধৃত সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে এই দুটি টিকার ‘জরুরি অনুমোদন’-এর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। কেন্দ্র চাইলে কোনও প্রতিষেধকের জরুরি অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।