ভারতে ক্রমশ বাড়ছে Omicron, নাগপুরেও হানা দিল নয়া প্রজাতি, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৭
কর্নাটক, দিল্লি, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশের পর এবার নাগপুরেও হানা দিল ওমিক্রন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবারে দেশে ওমিক্রন দাপট যেন গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেকটাই বাড়ল। বিগত সপ্তাহে করোনার নয়া প্রজাতি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হলেও। এবার সেই উদ্বেগের আগুনে ঘি ঢেলে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩৭। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নাগপুরে এক ৪০ বছর বয়সি করোনা পিজিটিভ রোগীর দেহে ধরা পড়েছে ওমিক্রন। পুরসভার কমিশনার রাধাকৃষ্ণণ বি, এই খবরের নিশ্চয়তা দিয়েছে। কর্নাটক, দিল্লি, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশের পর এবার নাগপুরেও হানা দিল ওমিক্রন।
রবিবার, চণ্ডীগড় এবং অন্ধ্রপ্রদেশে দু'জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছিল করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি। আক্রান্তরা যথাক্রমে ইতালি এবং আয়ারল্যান্ড ফেরত, এমনটাই জানা গিয়েছিল। চণ্ডীগড়ে ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ২০ বছর। ২২ নভেম্বর ইতালি থেকে তিনি ভারতে এসেছিলেন। পয়লা ডিসেম্বর তিনি করোনা আক্রান্ত হন। এবার তাঁর শরীরেই ওমিক্রন ভাইরাস ধরা পড়ে। চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আক্রান্ত ব্যক্তি ফাইজার টিকার দুটো ডোজ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন, Coronavirus: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে সংক্রমণ বাড়ল দেশে, ফের ৯ হাজারের কোঠায় দৈনিক আক্রান্ত
অন্যদিকে, রবিবারই অন্ধ্রপ্রদেশের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৩৪ বছর। বিশাখাপত্তনমে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। এছাড়াও, এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ১৭, রাজস্থানে ৯, গুজরাটে ৩, কর্ণাটকে ২ এবং দিল্লিতে ২ জনের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন। এদিকে, জানুয়ারিতেই কি ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ? দেশজুড়ে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এমন আতঙ্ক।
এই উদ্বেগের মধ্যেই ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খুললেন WHO-র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর ড. পুনম ক্ষেত্রপাল। তিনি বলেন, "অতিমারী এখনও শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বের অন্য দেশগুলিতে যেভাবে নয়া ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন ছড়াচ্ছে, তাতে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। সম্ভাবনাও অত্যন্ত বেশি। তবে নয়া ভ্যারিয়ান্ট মানেই যে সেটা ভয়ঙ্কর রকম খারাপ হবে, এমনটা নাও হতে পারে। তবে হ্যাঁ, পরিস্থিতিতে আবার বদল আসবে, সেটা নিশ্চিত।"
এই ওমিক্রন ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৫৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে মহারাষ্ট্রেই এখনও পর্যন্ত নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। মুম্বইয়ের ধারা বস্তিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা, তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১১ ও ১২ ডিসেম্বর, এই দুদিন মুম্বইয়ে বড় জমায়েতের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যদি কেউ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে, তাহলে ভারতীয় সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।