চুল পড়া রুখতে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া টোটকা
শীতকালে চুল পড়ে যাওয়া কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তাই তখন দামী কোনও পার্লারে গিয়ে অথবা ডাক্তারের কাছে গিয়ে চুলের ট্রিটমেন্ট করান অনেকেই। কিন্তু এইসব করেও অনেক সময় কোনও লাভই হয়না। তাই এবার চুল পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে দামী কোনও পার্লারে না গিয়ে ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট করুন। অন্যকোনও ট্রিটমেন্ট আপনার স্যুট করুক বা না করুক ঘরোয়া টোটকা কিন্তু স্যুট করবেই। তাহলে এবার দেখে নিন ঘরোয়া টোটকাগুলিকে...
ওয়েব ডেস্ক: শীতকালে চুল পড়ে যাওয়া কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তাই তখন দামী কোনও পার্লারে গিয়ে অথবা ডাক্তারের কাছে গিয়ে চুলের ট্রিটমেন্ট করান অনেকেই। কিন্তু এইসব করেও অনেক সময় কোনও লাভই হয়না। তাই এবার চুল পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে দামী কোনও পার্লারে না গিয়ে ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট করুন। অন্যকোনও ট্রিটমেন্ট আপনার স্যুট করুক বা না করুক ঘরোয়া টোটকা কিন্তু স্যুট করবেই। তাহলে এবার দেখে নিন ঘরোয়া টোটকাগুলিকে...
১. গরম তেল ম্যাসেজ করুন
অলিভ ওয়েল, নারকেল তেল ইত্যাদি তেল মাথায় ভালো করে ম্যাসেজ করুন। ম্যাসেজের পর ১ ঘণ্টা মাথা ঢাকা দিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এতে আপনার চুল নরম হবে এবং উঠবে কম।
২. সবজির রস
আদা, রুসন অথবা পিঁয়াজের রস মাথায় ভালো করে মাখুন। এই ভাবেই সারা রাত মেখে রেখে দিন। তারপর সকালে উঠে ভালো করে ধুয়ে নিন। দেখবেন আস্তে আস্তে মাথার যে কোনও সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৩. মাথায় ম্যাসেজ করুন
অনেক সময় মাথায় রক্ত চলাচল ঠিক মতো হয়না। তার জন্য সপ্তাহে অন্তত্য দুবার ম্যাসেজ করুন। সেক্ষেত্রে আমন্ড অথবা এসেন্সিয়ান কোনও ওয়েল দিয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন। দেখবেন এতেও আপনার চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ফুটন্ত জলে গ্রিন টী দিয়ে লিকার বাবিয়ে নিন। এরপর সেটা আপনার মাথায় ঢালুন। সেইভাবেই ঘণ্টা খানেক রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে মাথায় ম্যাসেজ করুন। গ্রিন টীতে থাকা অ্যান্টিওক্সিডেন্ট চুল পড়ার সমস্যা কমায় এবং চুলের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. ধ্যান করুন
অনেক সময় অতিরিক্ত অবসাদ এবং চিন্তা থেকে চুল পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা মুক্ত হলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়। এর জন্য ধ্যান করতে পারেন। ধ্যানের ফলে আপনার চিন্তা দূর হবে এবং চুল পড়ার সমস্যা কমে যাবে।
৬. আমলা
আমলা চুলের পক্ষে খুব ভালো। আমলাতে ভিটামিন সি থাকে। যা চুল পড়ার সমস্যা দূর করে। এক চামচ আমলার সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণ মাথায় মেখে, মাথা ঢাকা দিয়ে রাখুন। সারা রাত এইভাবে রেখে দিয়ে সকালে শ্যাম্পু করে নিন।
৭. অ্যালোভেরা
চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। এটি মাথার পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে চুল পড়ার সমস্যা রোধ করা যায়। মাথায় অ্যালোভেরার রস মেখে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর হালকা গরম জল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার অ্যালোভেরা মাখুন। এছাড়া সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরার রস খেলেও চুল পড়ার সমস্যা রোধ করা যায়।
৮. বিট
বিট আপনার শরীর এবং চুলের জন্য খুবই ভালো। বিটে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি ও সি চুলের জন্য খুবই উপকারি। বিট সিদ্ধ করে হেনার সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখতে পারেন। তারপর মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত্য দুবার ব্যবহার করার ফলে চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
৯. নারকেলের দুধ
নারকেলের দুধে অনেক প্রোটিন থাকে। যা চুল পড়া রুখতে সাহায্য করে। একটু নারকেল কোড়া নিয়ে জলে মিশিয়ে ভালো করে ফোটান দেখবেন তার থেকে দুধ বেরিয়ে আসবে। সেই জল ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে মাথায় মাখুন। ২০ মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
১০. চাইনিস জবা
চাইনিস জবা ড্যান্ড্রাফ, ডগা ভেঙে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া এবং চুল পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। ১০টা চাইনিস জবার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। তারপর সারা রাত ওই তেল মাথায় মেখে রাখুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। এটা সপ্তাহে ৩বার ব্যবহার করতেই পারেন।