জেনে নিন সায়াটিকার ব্যথা কমানোর ৬টি অব্যর্থ কৌশল!

এমন বেশ কয়েকটি উপায় আছে, যেগুলির সাহায্যে এই সায়াটিকার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...

Updated By: Feb 3, 2019, 11:30 AM IST
জেনে নিন সায়াটিকার ব্যথা কমানোর ৬টি অব্যর্থ কৌশল!

নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেকেরই মাঝে মধ্যে ঊরুর পেছন দিক থেকে একটা চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে পায়ের পেছন দিক দিয়ে নিচে নেমে যায়। কখনও এই ব্যথা পায়ের পাতা পর্যন্ত অনুভূত হয়। শুধু ব্যথা নয়, মাঝে মধ্যে ঊরু থেকে পায়ের পেছনের দিকের একটা অংশ অবশ, অসাড় হয়ে যায়। চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাটিকে বলা হয় সায়াটিকা।

সায়াটিক স্নায়ুর মূল থেকে এই সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে এর নাম সায়াটিকা। দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে এই ব্যথা বা অসাড় ভাব বেড়ে যায়। কখনও মেরুদণ্ড ভাঁজ করে কোনও কাজ করার সময় এই সমস্যা হতে পারে। যেমন, ঝুঁকে জুতার ফিতে বাঁধার সময়, নিচু হয়ে মাটি থেকে কিছু তোলার সময় একটা চিনচিনে ব্যথা হয়। তবে এমন বেশ কয়েকটি উপায় আছে, যেগুলির সাহায্যে এই সায়াটিকার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...

সায়াটিকার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার সহজ উপায়:

১) আইস প্যাক: সারা দিনের পর কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত, অবসন্ন শরীরে সায়াটিকার সমস্যা বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে আইস প্যাকের সাহায্যে ঠান্ডা সেঁক নিতে পারেন। এর ফলে মানসিক ও শারীরিক চাপ যেমন কমবে, তেমনই সায়াটিকার চিনচিনে ব্যথাও কমবে অনেকটা।

আরও পড়ুন: সুন্দরী মেয়েরা পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়!

২) হট বাথ: আইস প্যাক নেওয়ার পর উষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন। এতে ঠান্ডা-গরম সেঁকের কাজ করবে আর ব্যথাও কমে যাবে।

৩) তেল মালিশ: বেশ কিছু জৈব উপাদান সমৃদ্ধ তেল সায়াটিকার ব্যথা উপশমে অব্যর্থ। যেমন, ল্যাভেন্ডার বা আর্নিকা তেল সায়াটিকার ব্যথা উপশমে অত্যন্ত কার্যকর।

৪) মাসাজ বা মালিশ: কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে কোমর ও উরুর পেশিতে মাসাজ ও অ্যারোমাথেরাপি করাতে পারলে সায়াটিকার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৫) যোগাসন: অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সহজ কিছু যোগাসন করতে পারলে সায়াটিকার ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৬) অ্যাকুপ্রেসার: ওষুধ না খেয়ে ব্যথা কমানোর অন্যতম সেরা উপায় হল অ্যাকুপ্রেসার। এই পদ্ধতিতে শরীরে লসিকা সংবহন ভাল হয়। ফলে যন্ত্রণা কমে দ্রুত।

.