Piles: হয়েছে ক্যানসার, পাইলস ভেবে ফেলে রাখছেন না তো?
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য বা মলের সঙ্গে রক্তপাত ও মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন হতে পারে কোলন ক্যানসার বা মলাশয়ের ক্যানসারের উপসর্গ। কিন্তু প্রায়শই আমরা এটা পাইলস ভেবে ভুল করে থাকি। যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা হল, তলপেটে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা অনুভব করা, রক্তাল্পতা, ক্লান্তি, বারবার মলত্যাগের করতে যাওয়া, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। তাই এসব উপসর্গ দেখা দিলেই দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোনও কোনও সময় আমরা নিজেই ডাক্তারি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। রোগের লক্ষণ দেখে ধরেই নিই বিশেষ কিছু হয়নি। সে রকমই ভুল আপনি করছেন না তো। পাইলস বা অর্শ্বরোগে অনেকেই ভোগেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যাকে অবহেলা করেন। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য বা মলের সঙ্গে রক্তপাত ও মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন হতে পারে কোলন ক্যানসার বা মলাশয়ের ক্যানসারের উপসর্গ। কিন্তু প্রায়শই আমরা এটা পাইলস ভেবে ভুল করে থাকি।
আরও পড়ুন, COVID BF.7: করোনা ঠেকাতে 3T উপরে জোর, চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় কোমর বাঁধছে কেন্দ্র!
মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়ার সমস্যাকে অনেকেই পাইলস মনে করেন। যদিও পাইলস বা অর্শ্বের লক্ষণও কোলন ক্যানসারের উপসর্গের সঙ্গে অনেক মিল আছে। চিকিৎসকদের মতে, ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ইদানীং খাবারের অভ্যেসের পরিবর্তন, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, অতিরিক্ত ওজন, প্রসেসড ফুড খাওয়া ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে অল্প বয়সে কোলোরেক্টাল ক্যানসার হানা দিচ্ছে মানুষের শরীরে।
তবে এসব ক্ষেত্রে পাইলস বলে তা ভুল না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কে জানে আপনার অজান্তেই হয়তো শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ রোগ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে আধুনিক চিকিৎসার সাহায্যে মলদ্বার ও অন্ত্রের ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা যায়। তাই প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কিন্তু উপসর্গ দেখে কীভাবে বুঝবেন তা পাইলস নাকি কোলন ক্যানসার ? যদি হঠাৎ মলত্যাগের অভ্যাস বদলে যায়, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মলদ্বার থেকে রক্ত বেরোতে দেখে কখনও তা অবহেলা করবেন না। সে পাইলস হোক কিংবা ক্যানসার তার যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজন। পাইলসের রোগীদের ক্ষেত্রে মলের সঙ্গে যে রক্তপাত হয় তা সাধারণত লাল রঙের। অন্যদিকে, কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্তে কালচে ভাব বেশি হয়। কালচে রং দেহের ভেতর থেকে বেরনো রক্তের সূচক।
তবে এছাড়াও আরও যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা হল, তলপেটে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা অনুভব করা, রক্তাল্পতা, ক্লান্তি, বারবার মলত্যাগের করতে যাওয়া, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। তাই এসব উপসর্গ দেখা দিলেই দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।