ডিসেম্বরে নয়, অক্টোবর থেকেই ছড়াতে শুরু করেছিল করোনাভাইরাস! দাবি, ব্রিটিশ গবেষকদের
কিন্তু কোথা থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল গোটা বিশ্বে? জেনে নিন কী বলছেন গবেষকরা...
নিজস্ব প্রতিবেদন: কী ভাবে মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস ঢুকল, তা এখনও পর্যন্ত অজানা বিজ্ঞানীদের কাছে। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। করোনার জন্য এখনও কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। কবে থেকে বা কোথা থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হল তা নিয়ে এখনও দ্বিধা-বিভক্ত বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে করোনা নিয়ে নয়া তথ্য সামনে আনলেন একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নয়, তার অনেক আগেই ছড়াতে শুরু করেছিল করোনাভাইরাস!
সম্প্রতি লন্ডনের ‘জেনেটিক ইনস্টিটিউট অব ইউনিভার্সিটি’র একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহান অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের ঘটনা প্রথম সামনে এলেও এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল অনেক আগেই। এই ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের শুরুর দিক থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল। তবে এই ভাইরাস চিনেই প্রথম সংক্রমিত হয়েছিল বলেই মনে করছেন তাঁরা। সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্ত মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
বুধবার ‘ইনফেকশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড এভল্যুশন’ নামের একটি পত্রিকায় ব্রিটিশ গবেষকদের এই মতামতটি প্রকাশিত হয়েছে। এই পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এই গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ফ্র্যাঙ্কস বালু জানান, এই ভাইরাসটি আর পাঁচটি ভাইরাসের মতোই চরিত্রগত পরিবর্তন এবং দ্রুত অভিযোজন ঘটাতে সক্ষম। ফলে দ্রুত উপসর্গ বদলে বদলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়ঙ্কর মহামারির আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস। এ ছাড়াও, ‘ইনফেকশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড এভল্যুশন’ নামের ওই পত্রিকায় তাঁরা লিখেছেন কী ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। শুধু তাই নয়, কী ভাবে এই ভাইরাস নিজের জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের আবহেও শিশুদের দিতেই হবে এই প্রতিষেধকগুলি
সারা বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা আবিষ্কার না হলেও বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থায় আর সহায়ক ওষুধে এর মধ্যে প্রায় ১৫ লক্ষ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে কী ভাবে মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস ঢুকল, তা না জানা পর্যন্ত এর প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর বিশেষজ্ঞরা।