Covid-19: পুজোয় লোকারণ্য, মহা ধুমধামের ফল হাতেনাতে! বাংলায় হাজারের কাছে সংক্রমণ
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে (West Bengal Covid Death) ১২ জনের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোয় দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে বাঙালি। কোভিড বিধির বালাই ছিল না। ঠাকুর দেখার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে জনারণ্যে দেখে আশঙ্কিত হয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আশঙ্কাই প্রতিভাত হচ্ছে বাংলার ঊর্ধ্বমুখী কোভিড রেখচিত্রে। হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে সংক্রমণ। কলকাতায় ২৫০-র উপরে আক্রান্ত।
শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Heath Department) পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৯৭৪। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৫৯ জনের। সংক্রমণ হার ২.২৬ শতাংশ। কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২৬৮। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তর ২৪ পরগনায়। আক্রান্ত ১৪৭। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়ায় সংক্রামিত হয়েছেন যথাক্রমে ৭৬, ৮৪, ৭৯ ও ৫৬।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে (West Bengal Covid Death) ১২ জনের। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতায় ৪ জন করে মারা গিয়েছেন। নদিয়ায় মৃত ২। কোভিডে সেরেছে ৮০৮ জনের। রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্ত ৭,৭৩১। এ দিন ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৯০৯ কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকদের সঙ্গে আলাদা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নবান্ন। কলকাতা, মালদহ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং দার্জিলিঙের জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে।
এ দিনই করোনা নিয়ে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেছেন, প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে। কঠোরভাবে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ বলবৎ করা হোক। মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বাড়াতে হবে টিকাকরণের হার। হাসপাতালগুলিতে কোভিড ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নতুন ও ক্রিটিক্যাল রোগীদের জন্য ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে। করোনা পজিটিভ রোগীদের সনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন-