কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক যেভাবে বিপদ ডেকে আনছে!

অসুখ সারাতে ওসুধ। আর সেই ওষুধই ডেকে আনছে বিপদ! অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে নবজাতক ও শিশুদের। সামান্য জ্বর, পেটের অসুখ বা শ্বাস কষ্ট। ছোট্ট শিশুটিকে সুস্থ করতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করলেন চিকিত্সক। অবাক লাগলেও, গবেষকরা বলছেন এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারই ভবিষ্যতে দুর্বল করে দিচ্ছে শিশুদের।  কিন্তু কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সমস্যায় ফেলছে শিশুদের?

Updated By: Jun 17, 2016, 05:59 PM IST
কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক যেভাবে বিপদ ডেকে আনছে!

ওয়েব ডেস্ক : অসুখ সারাতে ওসুধ। আর সেই ওষুধই ডেকে আনছে বিপদ! অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে নবজাতক ও শিশুদের। সামান্য জ্বর, পেটের অসুখ বা শ্বাস কষ্ট। ছোট্ট শিশুটিকে সুস্থ করতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করলেন চিকিত্সক। অবাক লাগলেও, গবেষকরা বলছেন এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারই ভবিষ্যতে দুর্বল করে দিচ্ছে শিশুদের।  কিন্তু কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সমস্যায় ফেলছে শিশুদের?

কী ভাবে বিপদ?

অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া শুধু হজমে সাহায্য করে এমনটা নয়। অ্যাজমা, অ্যালার্জি, পেটের অসুখের মতো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া। প্রত্যেক শিশুর দেহেই তৈরি হয় নিজস্ব ব্যাকটেরিয়ার সেট, মাইক্রোবায়োম। জীবনের প্রথম দুই-তিন বছর এই মাইক্রোবায়োম গঠন হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরত্বপূর্ণ। কিন্তু গবেষণা বলছে, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব পড়ছে এই মাইক্রোবায়োম গঠনে।

'বিপদ অ্যান্টিবায়োটিকে!'

অ্যান্টিবায়োটিকের বারবার ব্যবহার ব্যাকটেরিয়া গঠনে বাধা সৃষ্টি করে। যার নিট ফল সুগঠিত মাইক্রোবায়োম তৈরিই হয় না শিশুর দেহে। স্থিতিশীল হয় না শিশুদেহের প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়াগুলি।

বিপদ সিজারিয়ন বেবিরও!

বিপদসীমার মধ্যে রয়েছেন সিজার করে জন্ম নেওয়া নবজাতকেরাও। এমনটাই দাবি গবেষকদের। সিজারিয়ান বেবিদের অন্ত্রে রোগ প্রতিরোধকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কম থাকে। এই শিশুদের উপর অ্যাটিবায়োটিকের প্রভাব আরও খারাপ হতে পারে।

তাই গবেষকরা বলছেন, শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দিন সাবধানে। কারণ জীবনের প্রথম তিন বছর অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার মোটেই ভাল নয়।

.