করোনার কোপে চিকেন, আতঙ্কিত হওয়ার কি সত্যিই কোনও কারণ আছে?
ইতিমধ্যেই চিকেনের ব্যবসায়ে ক্ষতি হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। আতঙ্কের আবহে প্রেসকনফারেন্সে কী জানালেন শ্চিমবঙ্গ পোল্ট্রি ফেডারেশন এবং পশু চিকিত্সকেরা, দেখুন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বার্ড ফ্লু-ই হোক, বা করোনাভাইরাস বারবার কোপ পরে পোলট্রির চিকেনের ওপরেই। তাল মিলিয়ে রবিবারের মেনু থেকে বাদ পড়ছে চিকেন। কারণ একটাই, করোনা আতঙ্ক। আর এই আতঙ্কের জেরে মুরগির মাংস বিক্রি একেবারে তলানিতে নেমে এসেছে। সত্যিই কি চিকেনে লুকিয়ে মারণ ভাইরাস? কী বলছেন চিকিত্সকেরা? মুরগির মাংস বা ডিম খেলে করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ধারণা যেমন তৈরি হয়েছে, তেমন অনেকেই বলছেন, চিকেন থেকে এসেছে করনো ভাইরাস। আর এ জন্য রাজ্যে মুরগির মাংসের বিক্রি এখন তলানিতে ঠেকেছে। আতঙ্কে মাংস তুলতে চাইছেন না অনেকেই।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ! চাপ নেবেন না, বিটের রস খান
হিসেব বলছে গত ১৫ র দিনে ক্ষতিটা পৌছে গিয়েছে ৩০০ কোটি টাকায়। শেষে পরিস্থিতির হাল ধরতে মাঠে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ পোল্ট্রি ফেডারেশন এবং পশু চিকিত্সকেরা। তাঁরা বলছেন, চিকেন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কোনও নজির নেই। এ তো গেল পশু চিকিত্সকদের কথা। চিকিত্সকেরাও বলছেন, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
তাঁদের দাবি, যা বলা হচ্ছে সবটা গুজব। চিকেন বা ডিম খেলে কোনও ভাবেই ছড়াবে না করোনা। তাঁরা বলছেন, এটা মানব শরীর থেকে মানব শরীরে সংক্রমন হচ্ছে। তার সঙ্গে মুরগির মাংসের কোন যোগ নেই। যদি মুরগির মাংস না খাওয়া হয় তাহলে মানুষ প্রোটিন খাওয়া থেকে পিছিয়ে পরবে। বিশেষজ্ঞরা একই সুরে বলছেন, "এসব কথার কথা নয়। এটা বৈজ্ঞানিক ভাবেই দেখা হয়েছে।" তবে এসবের পরও কিন্তু কাটছে না আতঙ্ক। পোলট্রি ফার্মগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিচ্ছন্নতার নিয়ম না মানার কারণেই হতে পারে সমস্যা। তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।