এই লক্ষণগুলি বুঝিয়ে দেবে রক্তে সুগার লেভেল বেড়েছে কিনা!

সুগার লেভেল কি বেড়েছে? বুঝে নিন এই ৭ লক্ষণ দেখে...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Sep 6, 2020, 08:24 PM IST
এই লক্ষণগুলি বুঝিয়ে দেবে রক্তে সুগার লেভেল বেড়েছে কিনা!
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরে কি ধরণের সমস্যা হয় তা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই অবগত। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হল, অষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে, কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে।

সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরে সুগার বেড়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলি চেনা অত্যন্ত জরুরী। এই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই ডায়াবেটিসে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে ঠিক কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়...

১) চিকিত্সকদের মতে, শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে শরীর থেকে সুগার বের করে দেওয়ার জন্য। সে কারণেই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।

২) হাত ও পায়ের আঙুল বা পুরো হাত অবশ বোধ করা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ের চলে গেলে এই লক্ষণ প্রকাশ পায়।

৩) খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ। সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

৪) যখন শরীর থেকে সুগার বের করে দেয়ার জন্য কিডনিতে চাপ পড়ে তখন ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। আর তখন কিডনি শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এতে শরীরে জলর ঘাটতি হতে থাকে, যার ফলে ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়।

৫) শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তির উপর। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: রাতে ভাত না রুটি? কোনটা, ঠিক কতটা খাওয়া উচিৎ? জেনে নিন

৬) ডায়েট বা ব্যায়াম না করেই হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

৭) শরীরের কোনও অংশে কেটে বা ছড়ে গেলে তা না শুকানো এবং শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগার বিষয়টিও শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এই সব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।

 

তথ্য সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

.