Varun Dhawan : কাজ থেকে বিরতি! জটিল রোগে আক্রান্ত বরুণ ধাওয়ান...
ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত জেনে ভেঙে পড়েছিলেন বরুণ ধাওয়ান। তিনি জানান, 'আমি এখন প্রায় সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছি। জানি না, আমার ঠিক কী হয়েছে! আমি ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত। যাতে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও আমি নিজেকে কঠোর পরিশ্রমের দিকে ঠেলে দিয়েছি। আমরা সকলেই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু কেউ প্রশ্ন করছেন না কেন? আমার মনে হয় মহান কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। আমি আমারটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশারাখি, অন্যরাও তাঁদের সেই উদ্দেশ্য খুঁজে নেবেন।'
Varun Dhawan, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : 'যে মুহূর্তে দরজা খুললাম, আবারও ইঁদুরদৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ক'জন লোক বলতে পারেন যে, তাঁরা বদলেছেন! আমি দেখছি লোকজন কঠোর পরিশ্রম করছেন। এমনকি আমিও আমার ছবি 'যুগ যুগ জিও'র সময় নিজেকে কঠোর পরিশ্রমের দিকে ঠেলে দিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল ছবি নয়, যেন নির্বাচনে লড়ছি। কেন তা জানি না, শুধু জানি, নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছি।' একটানা কথাগুলি বলে চলেছিলেন অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান।
সম্প্রতি, নিজের শারীরিক সমস্যা নিয়ে একটি চ্যানেলের কনক্লেভে মুখ খুলেছেন অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। জানিয়েছেন, বিরল রোগে আক্রান্ত তিনি। কী হয়েছে তাঁর? বরুণ জানাচ্ছেন, তিনি 'ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন'-এ আক্রান্ত। বরুণ জানান, 'আমি এখন প্রায় সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছি। জানি না, আমার ঠিক কী হয়েছে! আমি ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত। যাতে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও আমি নিজেকে কঠোর পরিশ্রমের দিকে ঠেলে দিয়েছি। আমরা সকলেই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু কেউ প্রশ্ন করছেন না কেন? আমার মনে হয় মহান কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। আমি আমারটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশারাখি, অন্যরাও তাঁদের সেই উদ্দেশ্য খুঁজে নেবেন।'
আরও পড়ুন-এ কি 'থালাইভা' নাকি? এই ব্যক্তির ছবি দেখে চমকে উঠল নেটপাড়া
আরও পড়ুন-'উর্ফি ঠিকই জানে যত খোলা শরীর, তত বাজার!'
ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন কি? জানা যাচ্ছে, এটি কোনও আঘাত লাগার কারণে, সংক্রমণের কারণে, জেনেটিক কারণে কিংবা স্নায়ুজনিত কারণেও হতে পারে। এটা তখনই হয়, যখন কানের অভ্যন্তরীণ অংশটি ঠিক করে কাজ করে না। ভেস্টিবুলার সিস্টেমটিই কানের অভ্যন্তরীণ অংশে রয়েছে। এটি চোখ, পেশী, স্নায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।আমাদের কানের ভিতরের অংশে একাধিক তরুণাস্থি, স্নায়ু রয়েছে। যার ভিতরের অংশে একটি তরলে পূর্ণ। এই তরলের সাহায্য এই কানের স্নায়ুগুলি বিভিন্ন শব্দ মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত হয় কান ও মাথার ভারসাম্যা নষ্ট হয়। এটা মস্তিষ্কের একদিকে কিংবা দুইদিকেই হতে পারে। ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন হলে রোজকার জীবনে এর প্রভাব পড়ে। এর কারণে হাঁটাচলা, লেখা পড়ার ক্ষেত্রে উঁচুনিচু রাস্তায় হাঁটার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এমনকি এই সমস্যার কারণে অনেকসময় স্মৃতিশক্তিও কমে যায়।
বরুণ জানিয়েছেন, তিনি ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত জানতে পেরে ভীষণ ভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন। পড়ে নিজেকে বুঝিয়েছেন, তবে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী বলেও জানান। প্রসঙ্গত, খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে বরুণ ধাওয়ান-কৃতি স্যানন অভিনীত 'ভেড়িয়া' ছবিটি। এর আগে বরুণ অভিনীত 'যুগ যুগ জিও' ছবিটি বক্স অফিসে সুপার হিট, ১৩৫ কোটির ব্যবসা করে ছবিটি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অভিনেত্রী সামান্থ রুথ প্রভু বিরল রোগ মায়োসাইটিসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছিল।