The Kerala Story: পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ, বিশ্ব জুড়ে ৩৭ দেশে মুক্তি পেল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
The Kerala Story: শনিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন - 'একটি ছবি যখন সারা দেশে চলছে, তখন পশ্চিমবঙ্গও দেশের থেকে আলাদা নয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কী প্রয়োজন?’ রাজ্যকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। একদিকে যখন সারা দেশে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে তখনই সারা বিশ্ব জুড়ে মুক্তি পেল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
The Kerala Story, Supreme Court, Ban in West Bengal, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, তামিলনাড়ুরও বিভিন্ন সিনেমা হল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এই ছবি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও প্রযোজক বিপুল অম্রুতলাল শাহ। সেই মামলায় শুক্রবার রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। কেন নিষিদ্ধ করা হল এই ছবি? তা জানতে চেয়েই রাজ্যকে নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত।
সারা দেশ জুড়ে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। একদিকে সারা দেশে যেমন এই ছবি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, সেরমকই এই ছবি দেখতে হলমুখো হয়েছে দর্শক। গত সাতদিনে ছবির আয় ৮১ কোটির বেশি। পাশাপাশি ভারতের ছবি মুক্তির এক সপ্তাহ পর সারা বিশ্ব জুড়ে ৩৭ টি দেশে মুক্তি পেল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই ছবিতে একটি মেয়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে যে হিন্দু হিসাবে জন্মালেও কলেজে পড়াকালীন বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে ও পরবর্তীকালে এক সন্ত্রাসবাদী দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ধর্মান্তরিত থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মেরুকরণ ছবির চিত্রনাট্যে উঠে এসেছে নানা কথা আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা।
গত বুধবার জি ২৪ ঘণ্টার আপনার রায় অনুষ্ঠানে ডেপুটি এডিটর মৌপিয়া নন্দীর মুখোমুখি হয়ে পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেন, ‘এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমি কখনও ভাবতে পারিনি আমার ছবি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হবে। সিবিএফসির গাইডলাইনে বলা আছে, কোনও ছবি সিবিএফসি থেকে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর কোনও রাজ্যের ক্ষমতা নেই সেই ছবিতে ব্যান করার। আদালতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছিল, আমরা সেই মামলা লড়েছি। তামিলনাড়ু, কেরালার হাইকোর্ট সহ সুপ্রিম কোর্টও রায়ে বলে, একটা সিনেমার পিছনে অনেকের পরিশ্রম থাকে। শুধুমাত্র কিছু রাজনৈতিক দলের স্বার্থের জন্য সেগুলো উপেক্ষা করা যায় না আর এই ছবি কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়কে আহত করে না। তাই এই ছবি নিষিদ্ধ করার কোনও কারণ নেই। এত ভালো ভালো রায় পেলাম। দুমাস ধরে সেন্সর বোর্ড খুঁটিয়ে দেখল। এরপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার যা করল তা খুবই অবাক করা কাণ্ড কারণ আমাদের কাছে এই রাজ্য হল বাকস্বাধীনতার রাজধানী, বাঙালিরা হল বাকস্বাধীনতার পথপ্রদর্শক। আমার মেন আছে পদ্মাবতের সময়ে বিতর্ক চলছিল সারা দেশে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার সামনে এসে সেই ছবির পাশে দাঁড়ায়, আমরা বাহবা দিই। বিবিসির ছবির ক্ষেত্রেও তাই। গত তিন-চারদিন পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হাউজফুল চলছিল আমার ছবি। কোথাও কোনও আইন শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়নি। দর্শক স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এই ছবি দেখতে যায়। হঠাৎ জানি না কী হল, পুলিস ঢুকে সব শো বন্ধ করে দিল। আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটা দেখেননি, উনি দেখলে ভুলটা বুঝতে পারবেন’।
আরও পড়ুন- The Kerala Story: 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ কেন? বাংলাকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন - 'একটি ছবি যখন সারা দেশে চলছে, তখন পশ্চিমবঙ্গও দেশের থেকে আলাদা নয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কী প্রয়োজন? মানুষ যদি ছবিটা পছন্দ না করেন, তা হলে দেখবেন না। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন'।