The Kerala Story: ‘দিদিকে যাঁরা ভুল বুঝিয়েছিলেন...’, বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ফেরায় মত পরিচালক সুদীপ্ত সেনের
The Kerala Story Director Sudipto Sen: ‘আজকের দিনে সারা ভারতের লোক এই ছবিটা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং বুঝতে পারছেন যে এই ছবিটা ভারতের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ ছবি।’ সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেই জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র পরিচালক।
The Kerala Story, Supreme Court জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ৮ মে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ব্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ব্যানের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও প্রযোজক বিপুল অম্রুতলাল শাহ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নোটিস পাঠায় রাজ্যকে। আদালত জানায়, 'একটি ছবি যখন সারা দেশে চলছে, তখন পশ্চিমবঙ্গও দেশের থেকে আলাদা নয়। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কী প্রয়োজন। মানুষ যদি ছবিটা পছন্দ না করেন, তা হলে দেখবেন না। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন'। তারই জবাবে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, ছবিটি পক্ষপাতদুষ্ট। 'বিদ্বেষমূলক' ও 'বিকৃত তথ্য' থাকার কারণেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার ফের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সিনেমা হলে দেখানো যাবে এই ছবি।
আরও পড়ুন- The Kerala Story: রাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিমকোর্টের, সিনেমাহলে ফিরছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
সুপ্রিমকোর্টের এই নির্দেশ প্রকাশ্যে আসতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া বলিউডে ও টলিউডে। কী বলছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন সহ টলিউডের অভিনেতারা।
সুদীপ্ত সেন(Sudipto Sen)- দিদিকে যাঁরা ভুল বুঝিয়েছিলেন এই ছবিটা নিয়ে, এবার তাঁরা ও দিদিও দেখবেন এই ছবিটা। আজকের দিনে সারা ভারতের লোক এই ছবিটা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং বুঝতে পারছেন যে এই ছবিটা ভারতের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ ছবি। সেই ছবিটা এবার পশ্চিমবঙ্গে দেখানো হবে, সেখানে দেখানো হবে যাকে আমরা গণতন্ত্রের, বাকস্বাধীনতার রাজধানী বলে মনে করি। আমি ভীষণ খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ।
শুভাপ্রসন্ন (Subhaprasanna)- এটা শুনে আমার ভালো লাগছে কারণ আমি এটার পক্ষেই আমি নানাভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। কারণ কোনও শিল্পকেই নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। কারণ মানুষ যদি মনে করে সেই ছবি দেখবে তাহলে গ্রহণ করবে বা বর্জন করবে। যদি সরকার সেটা নিষিদ্ধ করে তাহলে সেটা আরও মাইলেজ পেয়ে যায়। আমার মনে হয় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশাসনের কথা ভেবে, কারোর যাতে ক্ষতি না হয় সেই কথা ভেবে হয়তো ব্যান করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যখন আদেশ দিয়েছেন, সেটা যদি জনাদেশ হয় তাহলে আমার ভালো লাগবে। আমি ছবিটি দেখার পর আমার মনে হয়েছিল এই ছবিতে এমন কিছু নেই, যা মানুষকে উত্তেজিত করবে।
আরও পড়ুন- Ritwick Chakraborty: চাকরি খুঁজছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, নেটপাড়ায় পোস্ট অভিনেতার
কৌশিক সেন(Koushik Sen)- প্রথমত, এটা নিয়মই তাই সুপ্রিমকোর্টের আদেশ রাজ্য সরকার মান্যতা দিতে বাধ্য। তবে আমি আগে যা বলেছি সেটাই আমার মনে হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটা সঠিক। এখনও মনে করি সেটা সঠিক। চলচ্চিত্রের স্বাধীনতা বলে যা দাবি করা হচ্ছে এই চলচ্চিত্রটি সেরকম নয়, একটি কমিউনিটিকেই টার্গেট করে বানানো। কেরালা সম্পর্কে জনমানসে যে ধারণা তৈরি করা হয়েছে, তা ভুল। প্রধাণমন্ত্রী যিনি কোনও বিষয়ে মুখই খোলেন না তিনি কর্ণাটক নির্বাচনে কেরালা স্টোরির বিষয়টা উথ্থাপিত করার চেষ্টা করেন। ২০২৪ সালের আগে কেন এই ধরনের ছবি বানানো হচ্ছে, কোন উদ্দেশ্যে বানানো হচ্ছে, সবাই জানে।
রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)- এই ঘটনা ঘটারই ছিল। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন চলে না, শাসকের আইন চলে। বিভিন্ন ঘটনায় দেখা যায় আইনকে তোয়াক্কা না করে যাঁরা পুলিসকে ভুলভাবে ব্যবহার করে। টিকিট কেটে যারা একটি সেন্সরড সিনেমা দেখতে যায় তাদের ধরে বের করে দেওয়া। সারা ভারতে এই ছবি চলছে কোথাও কোনও অশান্তি নেই কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই নির্দেশিকা জারি করা হয় যার কোনও বাস্তব ভিত্তি ছিল না। হারিয়ে যাওয়া ভোটকে মিথ্যে সহানুভূতি দিয়ে ফেরত আনার চেষ্টায় এই কাজ করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।