Tasnia Farin: ‘একান্তে সুন্দর সময় কাটছে...’ হানিমুনে কোথায় গেলেন তাসনিয়া ফারিণ?
Tasnia Farin Wedding: সোমবার আচমকাই বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। কৈশোরের প্রেমিক শেখ রেজওয়ান রাফিদ আহমেদের গলায় মালা দিলেন অভিনেত্রী। জানা যায় যে অভিনয় জগতে আসার আগেই রেজওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ফারিণের। সেই সম্পর্ককেই এবার পূর্ণতা দিলেন তাঁরা। বিয়ের পরেই হানিমুনে পাড়ি দিয়েছেন নবদম্পতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্পর্কের কথা কখনও জনসমক্ষে আনতে চাননি অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ(Tasnia Farin)। বাংলাদেশের(Bangladesh) পাশাপাশি সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের(web Series) হাত ধরে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন এদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার আচমকাই বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান অভিনেত্রী। বিয়ের দিন লাল জামদানি শাড়ি ও লাল দোপাট্টায় সেজেছিলেন ফারিণ। শাড়ির সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না, কপালে ছোট্ট লাল টিপ ও হাতে মেহেন্দি, ফারিণকে দেখে চোখ ফেরানো দায়। কৈশোরের প্রেমিক শেখ রেজওয়ান রাফিদ আহমেদের গলায় মালা দিলেন অভিনেত্রী। বিদেশেই থাকেন রেজওয়ান। ১১ আগস্ট দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন তাঁরা। জানা যায় যে অভিনয় জগতে আসার আগেই রেজওয়ানের প্রেমে পড়েছিলেন ফারিণ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে ফারিণ জানান, ‘আমি এত দিন ধরে প্রেম করেছি। অনেক শান্তিতে ছিলাম। এখন বিয়ে হলো আমাদের। আমার চাওয়া, যত দিন বাঁচব, তত দিন যেন এমন শান্তিতেই জীবনটা পার করতে পারি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ জানা যায় বিয়ের পরেই হানিমুনে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী। হানিমুনে কোথায় গেলেন নবদম্পতি? জানা যায়, মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে স্পিডবোটে সমুদ্রে প্রায় ৪০ মিনিটের দূরত্বে চারদিকে সমুদ্রঘেরা একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপেই একান্তে সময় কাটাচ্ছেন নবদম্পতি।
মালদ্বীপ থেকে ফারিণ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুন্দর সময় কাটছে আমাদের দুজনের। জায়গাটি সুন্দর। এখানে সমুদ্রঘেরা অনেকগুলো রিসোর্ট। প্রাইভেট একটি রিসোর্টে আছি আমরা। কী সুন্দর জায়গাটি! মালদ্বীপ আমার পছন্দের জায়গা। বলতে পারেন, বিয়ের পর এ কারণেই এখানে আসা। এর আগেও একবার ভাইকে সঙ্গে করে মালদ্বীপে এসেছিলাম। আর এবারকার আসাটা ভিন্ন। অন্যরকম ভালোলাগা ও আনন্দের।’
বিয়ের কথা ঘোষণা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফারিণ লেখেন, ‘যদিও এটা (সম্পর্ক) অনেক দিনের, তারপরও তোমার জন্য আমার হৃদয় ঠিক প্রথম দিনের মতোই নেচে ওঠে। আমি তোমার মাঝেই ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে, কলেজে পড়াকালে আমরা প্রেমে পড়েছি। তুমি আমার জীবনে ছায়ার মতো থেকেছ, আমাকে অনুপ্রাণিত করেছ, সমর্থন জুগিয়েছ। আমরা একে অপরকে প্রাধান্য দিয়েছি, নিজেদের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণে পাশাপাশি থেকেছি। এই পথচলায় দুজনের জীবন বদলে গেছে কিন্তু সম্পর্কের গতিপথ একই ছিল। মূলত এ কারণেই আমাদের সম্পর্ক নিজেদের মধ্যেই রেখেছি। অবশেষে আমাদের কৈশোরের প্রেম পূর্ণতা পেল। তারপরও তোমাকে স্বামী হিসেবে পেয়েছি—এটা অবাস্তব লাগছে। নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সৌভাগ্যবান নারী মনে করছি। শেখ রেজওয়ান, আমাকে জীবনসঙ্গী করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমি তোমাকে ভালোবাসি।’