ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়...
আজ দোল। গোটা বাংলা মাতল রঙের খেলায়। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, বাঁদুরে... হরেক কিসিমের রং। কচিকাঁচারা বালতিতে রং গুলে বাড়ির ছাদ থেকে কিংবা বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই পথচারীদের পিচকিরি দিয়ে রঙ দিল। অবশ্য আজকাল ফ্ল্যাট-পাড়াতে আটকে পড়ায় পিচকিরির তেজও কমেছে।
আজ দোল। গোটা বাংলা মাতল রঙের খেলায়। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, বাঁদুরে... হরেক কিসিমের রং। কচিকাঁচারা বালতিতে রং গুলে বাড়ির ছাদ থেকে কিংবা বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই পথচারীদের পিচকিরি দিয়ে রঙ দিল। অবশ্য আজকাল ফ্ল্যাট-পাড়াতে আটকে পড়ায় পিচকিরির তেজও কমেছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোলের মজাতে ফোড়ন কাটল একটু যৌনতার ছোঁয়া।
এক এক বয়সে এক এক স্বাদের দোল। স্বাভাবিক ভাবেই। আবার, কিছু মানুষের কাছে দোলের দিন মানেই বন্দিদশা। বছরের একটি দিনও দেহের রং বদলানো যাবে না এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় দরজায় খিল দিয়ে সেই যে ঘরে ঢুকবেন, ব্যাস, বিকেলের আগে বন্দিমুক্তির সম্ভবনাই নেই। যতক্ষণ দরজার ওপারে রঙের উল্লাস, ততক্ষণ 'নো এন্ট্রি'। আবার অনেকে একগাল হেসে বলেন, ''আমার রং খেলা দেখতে ভালো লাগে। খেলতে ভালো লাগে না।''
আমরা কিন্তু রঙিনদের দলেই। বছরের একটা দিন যদি শরীরটাও রঙিন হয়, তাহলে ক্ষতিটা কি? আরে বাবা, মন রঙিন না হলে কি রং খেলা যায়? চুটিয়ে রং মাখব। মাখাবো। এটাই তো এই দিনটার চিরাচরিত মজা। মনের মানুষটাকে একটু ছোঁয়ার 'ছুতো'-ও তো এই উত্সব। বাঁধন ছাড়া, নিয়ম ভাঙার দিন। এই একটা দিন কৈশোরটাকেও তো ফিরে পাওয়া যায়। হাজার হাজার বছর ধরে এই উত্সবটাকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে তো শুধুই রং মাখালে চলবে না। রং তো মাখতেও তো হবে। তবেই তো রঙের উত্সবের পরিপূর্ণতা।