গান গাইতে গিয়ে অভব্যতার শিকার, পুলিসের দ্বারস্থ ইমন
রণিতা গোস্বামী
রণিতা গোস্বামী
কৃষ্ণনগর পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে যে অভব্যতা শিকার হতে হয়েছে, তার ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। ফোনে Zee ২৪ ঘণ্টাকে এমনটাই জানিয়েছেন গায়িকা। এই ঘটনার বিষয়ে তিনি কৃষ্ণনগর ও লিলুয়া, দুই থানাতেই অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগর থানার পুলিস তৎপর হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। কৃষ্ণনগর থানার ওসি রক্তিম চট্টোপাধ্যায় নিজেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছেন গায়িকা। পুরো ঘটনার বিষয়ে তিনি ওসির কথা মতোই তাঁকে ইমেলে অভিযোগ জানান বলে দাবি ইমন চক্রবর্তীর। পাশাপাশি অভিযোগের লিখিত নথি তিনি লিলুয়া থানাতেও জমা দিয়েছেন। লিলুয়া থানার তরফে সেই নথি কৃষ্ণনগর থানার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইমন।
আরও পড়ুন-‘দেখি কীভাবে তুই বের হবি এখান থেকে’ কৃষ্ণনগরে বন্ধ গাড়িতে হুমকি ইমনকে
ছবি সৌজন্য- ইমন চক্রবর্তীর ফেসবুক
ইমনের অভিযোগ, তাঁকে গানের অনুষ্ঠান করতে ডেকে তাঁর সঙ্গে অসভ্যতামো করে কৃষ্ণনগর পৌরসভার বেশকিছু লোকজন। দুঘণ্টা গান গাওয়ার পরও তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্য মিউজিশিয়ানদের আটকে রাখা হয়। অভিযোগ, কৃষ্ণনগর পৌরসভার ওই সমস্ত লোকজনের দাবি, যেহেতু তাঁকে টাকা দিয়ে আনা হয়েছে, তাই যতক্ষণ ওনারা বলবেন গায়িকা ততক্ষণই গান গাইতে বাধ্য। ইমন ও অন্যান্যরা সেখান থেকে বের হতে চাইলে তাঁদেরকে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয় এবং নোংরা ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ গায়িকার। এক্ষেত্র তাঁর গান শুনতে আসা কৃষ্ণনগরের বাসিন্দারাই তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন বলে জানিয়েছেন গায়িকা। সেজন্য তাঁদের প্রতি বারবার কৃতজ্ঞতাও জানান ইমন।
ঘটনার পরপরই ফেসবুক লাইভ করে ইমন অভিযোগ করেন, “আমাদের গাড়ি ঘিরে ধরা হয়। বলে, দেখি তোরা কীভাবে বের হবি। আমি একটানা দু’ঘণ্টা গান করেছি। কিন্তু আয়োজকরা বলছেন আমি নাকি এক ঘণ্টা গান করেছি। আমার সঙ্গীদের সঙ্গেও ভয়ঙ্কর অসভ্যতা করা হয়েছে। আমার ভয় করছে।”
আরও পড়ুন-বলিউডে #MeToo ঝড়, শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার সলমন
আরও পড়ুন-আলিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সিদ্ধার্থ
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির কালীরহাটের একটি স্কুলের সুবর্নজয়ন্তী অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছিল আরও এক সঙ্গীতশিল্পী সোমলতা আচার্যকে। তিনিও পুরো ঘটনাটি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরেন গায়িকা সোমলতা আচার্য। তাঁর অভিযোগ। স্কুলের শিক্ষক অর্ণব সাহা, তিনি মত্ত অবস্থায় স্টেজে উঠে বিভিন্ন ভাবে সোমলতাকে বিরক্ত করছিলেন। পাশাপাশি তাঁর গান ঠিক মতো শোনা যাচ্ছে না বলেও বারবর অভিযোগ করে শ্রোতাদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন। পুরো ঘটনাটা ঘটছিল সেখানে উপস্থিত প্রায় ১৫ হাজার শ্রোতাদের সামনে। যেখানে ছিলেন স্কুলে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরাও। ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও বিভিন্নরকম উস্কানিমূলক কথা বলছিলেন ওই শিক্ষক। পরে অবস্থা সুবিধাজনক নয় বুঝে পুলিসকে খবর দেন তাঁরা। পুলিস গিয়ে সোমলতা ও তাঁর ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের উদ্ধার করেন।