সলিল অনুভব করার পন্থী, ভালোবাসার পন্থী
স্বরূপ দত্ত
তিনি বামপন্থী, এমনটাই লোকে ব্যাখ্যা করে তাঁকে। সে তো মানুষ হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় হবে। হোক, তা নিয়ে কোনও বক্তব্য আমার অন্তত এখানে নেই। কিন্তু সুরকার, গীতীকার, লেখক, গায়কের আবার গায়ের রং, লাল কিংবা সবুজ হয় নাকি!
সলিল কতটা ব্যতিক্রমী সেটাই বলার চেষ্টা করছি। বামেরা পথে নামলে সেদিন তো বটেই, আজও গান চলে মাইকে, লোকের মুখে মুখে, পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে....
সবাই বলবে, বামপন্থী মানুষ, তাঁর গান বামপন্থী মানুষেরা গাইবে, এতে আর নতুনত্ব কিংবা অস্বাভাবিকত্ব কোথায়? নেই কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই। থাকে তখন, যখন আজকের দিনের তৃণমূলের জনসভাতেও মাইকে বাজে পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে....জানি না, এর ব্যাখ্যা কীভাবে দেবেন। শুধু এটুকু বলতে পারি, এটাই প্রাপ্য সলিল চৌধুরির মতো মানুষের। তিনি আবার কারও, কারও কারও, কোনও দলের, কিছু মানুষের হন নাকি কখনও! তাতে লাভ অল্প কটা মানুষের। ক্ষতি অনেক বেশি মানুষের। যোগ্যকে, যোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য কোনও দল বা পন্থার দরকার হয় না। যোগ্য নিজের যোগ্যতায় জীবনে অথবা মরে যাওয়ার পরও ‘সবার’ হয়ে ওঠেন। সলিল চৌধুরি যে, তাঁর সার্থক উদাহরণ এবং প্রমাণ। বিদ্রোহ আজ, বিদ্রোহ চারিদিকে, শুরুটা যে, তিনিই করে দিয়ে গিয়েছিলেন।