হাইপ্রোফাইল আম্মির কাগজ কাটিং দিয়ে অ্যালবাম বানাচ্ছে রিয়া, রাইমা
সকলের চোখে তিনি মহানায়িকা। কিন্তু রিয়া, রাইমার দিদা। দুই নাতনি এখন ব্যস্ত খবরের কাগজের কাটিং নিয়ে। সব কাটিং জড়ো করে সুচিত্রা সেনের শুধু মৃত্যুদিনটির ঘটনাবলী নিয়ে একটি অ্যালবাম বানাচ্ছেন তাঁরা।
সকলের চোখে তিনি মহানায়িকা। কিন্তু রিয়া, রাইমার দিদা। দুই নাতনি এখন ব্যস্ত খবরের কাগজের কাটিং নিয়ে। সব কাটিং জড়ো করে সুচিত্রা সেনের শুধু মৃত্যুদিনটির ঘটনাবলী নিয়ে একটি অ্যালবাম বানাচ্ছেন তাঁরা।
রিয়া, রাইমার দিদিমা আক্ষরিক অর্থেই হাইপ্রোফাইল। তাই তাঁর মৃত্যুর খবর দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের খবরের কাগজেও বড়সড় জায়গা জুড়ে। সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর পরদিন সকালে রিয়া, রাইমা ব্যস্ত রইলেন কোন খবরের কাগজে মহানায়িকার কী ছবি, কী খবর বেরিয়েছে তাই নিয়ে।বাংলা -ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু সব কাগজের পাহাড় নিয়ে বসেছিলেন দুই বোন। মুনমুন সেনের ইচ্ছে শুধু মৃত্যুদিনের উপরেই একটি অ্যালবাম থাকুক বাড়িতে। বিদেশের খবরের কাগজেও, সুচিত্রা সেনের খবর বেরিয়েছে। সেইসব কাগজ বিদেশ থেকে আনাবার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন দুই বোন।
বালিগঞ্জের বেদান্ত আবাসনে থাকতেন সুচিত্রা সেন। দুটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে। একটিতে মুনমুন সেন ও তার পরিবার। আরেকটিতে সুচিত্রা সেন। মহানায়িকার ফ্ল্যাটের যে দরজাটি সেটি সব সময়ের জন্য বন্ধ থাকত। দরজার বাইরে সবসময় একজন রক্ষী থাকতেন। শনিবার সকাল থেকে সেই দরজায় আর কোনও রক্ষী নেই। এমনকী দরজাটিও খোলা। পারিবারিক বন্ধুরা আসছেন শ্রদ্ধা জানাতে। ফ্ল্যাটের বসার ঘরে রাখা হয়েছে সুচিত্রা সেনের বিরাট ছবি। ছবির চারিদিকে রজনীগন্ধা। কারণ রজনীগন্ধাই ছিল তার প্রিয় ফুল। শুক্রবার সকাল থেকে ছবির সামনে বসে একজন পুরোহিত গীতা পাঠ করছেন। সোমবার বাড়ির ছাদে সুচিত্রা সেনের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হবে পরিবারের তরফে।